নবজাতকের
যত্ন কিভাবে নিবেন | নবজাতকের যত্ন - অনেক নতুন মা-বাবা জানেন না যে, একটি শিশু
জন্ম নিলে কি কি করা প্রয়োজন । একটি শিশু জন্ম নিলে অনেক ধরণের সাবধানতা সহ
বিভিন্ন দিকে নজর রাখতে হয় । শিশু জন্মের সময় থেকে ২৮দিন পর্যন্ত সময়কালকে নবজাতক
বলে ধরা হয়ে থাকে । এই সময়টিতে একজন মা এবং তার নবজাতকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
আরও পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় | গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
একজন
নবজাতকের প্রতিটি দিন সুস্থ-সুন্দর থাকা নিশ্চিত করতে, নিরাপদ রাখতে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার
কোন বিকল্প নেই ৷ এই সময়টিতে নবজাতকের শরীর খুব কোমল-নাজুক থাকায় খুব সহজেই বিভিন্ন
রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে ৷
আরও পড়ুনঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর অভাবজনিত রোগ | ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর কাজ কি
আরও পড়ুনঃ জাফরান এর উপকারিতা কি কি | জাফরান খাওয়ার উপকারিতা
আপনার
সদ্য নবজাতক ছোট্ট বাবু সোনার শরীর সুস্থ-স্বাভাবিক রাখতে চাইলে তার শারীরিক পরিচ্ছন্নতা
ও বাড়তি যত্ন নিশ্চিত করতে হবে । আর সে কারনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে আমাদের
আজকের ব্লগ পোস্ট । নিম্নে নবজাতকের জন্য কিছু টিপস দেওয়া হলো ----
নবজাতকের পরিচর্যার ১০টি টিপস
টিপস
১: শিশুকে জন্মের সাথে সাথে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মায়ের বুকের দুধ খেতে দিন । শিশু
সাথে সাথে দুধ নাও খেতে পারে । তবুও তাকে বার বার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন ।
টিপস
২: শিশুকে জন্মের পর পানি বা মধু
খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই ।
টিপস
৩: প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর পরে শিশুর পিঠ
চাপড়ে ঢেকুর তোলাবেন । শিশুকে আপনার বাঁম কাঁধে এমন ভাবে রাখবেন যাতে তার পেট
সরাসরি আপনার কাঁধে লেগে থাকে । এবার পিঠে কয়েকটি চাপড় দিবেন । একে ডাক্তারের
ভাষায় BURPING বলা হয়ে থাকে । এটা কিভাবে করতে হয় প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছ থেকে
দেখে নেবেন ।
টিপস
৪: শিশুকে কাপড়ে মুড়িয়ে রাখুন । গরমের
দিনে হালকা সুতি কাপড় ব্যবহার করুন । জামা কাপড় গুলো যেন হাল্কা সুতি কাপড়ের
হয় । দোকান থেকে কিনে কোনো কাপড় না ধুয়ে শিশুর জন্য কখনোই ব্যবহার করবেন না ।
টিপস
৫: শিশুর নাভি দিনে অন্তত দুবার পরীক্ষা
করুন । স্পিরিট বা হেক্সিসল-এ তুলা ভিজিয়ে পরিষ্কার করবেন । সাবধানতার সাথে নাভি
প্রতি লক্ষ্য রাখবেন । যদি ভেজা বা রস গড়িয়ে পড়ে অথবা দুর্গন্ধ পাওয়া যায় তবে
সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন ।
টিপস
৬: শিশুকে সকালের নরম রোদে ১৫-৩০ মিনিট
রাখবেন । এতে শিশুর জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা অথবা জন্ডিসের মাত্রা কমবে ।
টিপস
৭: শিশুর জন্মের পর বিসিজি টিকা ও পোলিও
টিকা দেওয়া প্রয়োজন । অনেকের ধারণা দেড় মাস বয়স থেকে টিকা দিতে হয় । দেড় মাস
বয়সে ডিপিটি টিকা দিতে হয় । কিন্তু জন্মের পরে বিসিজি টিকা দেওয়া এবং পোলিও
টিকা খাওয়ানো হয় । শিশুর জন্য বিসিজি টিকা অত্যন্ত জরুরি এ কথা অবশ্যই মনে
রাখবেন ।
টিপস
৮: শিশু মায়ের বুকের দুধ পাচ্ছে না বা
পেলেও খেয়ে পেট ভরছে না এমন কথা অনেক মা বলে থাকেন । তবুও যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন
বুকের দুধ খাওয়াতে । তারপরেও কোন সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন । নিজে থেকে
অন্য কোন দুধ দেবেন না । চিকিৎসক যদি অন্য কোন দুধ যেমন BIOMIL দিতে বলে তবে তা
নিয়ম অনুযায়ী তৈরি করবেন ।
টিপস
৯: শিশুর খাবার তৈরি করার আগে অবশ্যই হাত
ভালো করে ধুয়ে নেবেন । দুধের বোতল ধোয়ার ব্যাপারে সতর্কতার প্রয়োজন । একবার
তৈরি করা দুধ না খেলে, রেখে দিয়ে অনেক পরে আবার শিশুকে খেতে দেবেন না ।
টিপস
১০: শিশুর অতিরিক্ত কান্না, পায়খানার
সমস্যা, গায়ে লালচে দানা ওঠা, খাওয়া বন্ধ করে দেয়া, জ্বর, এরকম যে কোনো
সমস্যায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন ।
শেষ
কথা
শিশু পালনে বড়দের/বয়ঃজ্যেষ্ঠদের পরামর্শ নেওয়া ভালো । তবে বিজ্ঞান অনেক এগিয়েছে । এ কারনে অনেক ধারণা বিজ্ঞান সম্মত ভাবেই পাল্টে গেছে । তাই কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করা ভালো । শিশু পালনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের মতামত নেওয়া বিশেষভাবে প্রয়োজন । আশা করি প্রতিটি শিশুর সুস্থ ও নিরাপদ ভাবে বেড়ে উঠবে ।।
এই রকম আরো পোস্ট পেতে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।
আরও পড়ুনঃ মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা কি | মাশরুমের স্বাস্থ্য উপকারিতা