Dove সাবানের দাম কত | ডাভ সাবান এর দাম - Dove সাবান
একটি ইন্টারন্যাশনাল ব্রান্ড । এই সাবানটি প্রায় সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশেও অনেক জনপ্রিয়
। যারা সৌন্দর্য্য পিপাসু তাদের কাছে এই সাবানটি অধিক পরিচিত এবং জনপ্রিয় । ডাভ সাবান
প্রস্তুত কারকদের মতে এইটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী । ত্বকের তারতম্য ভেদে ডাভ সাবানও
কয়েক প্রকারে পাওয়া যায় ।
বন্ধুরা, আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা “Dove সাবানের দাম কত | ডাভ সাবান এর দাম” জানতে চান । আজকের এই ব্লগ পোস্টে ডাভ সাবান এর দাম এবং ডাভ সাবান দিয়ে বিভিন্ন তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো । যারা সৌন্দর্য্য পিপাসু তাদের কাছে এই পোস্টটি আশা করি ভালো লাগবে ।
অন্য পোস্টঃ মুখের গন্ধ দূর করার উপায় কি | মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
অন্য পোস্টঃ কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা কি | কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম কি
ডাভ সাবানের দাম কত
বাংলাদেশে সাধারণত ৩ প্রকার এবং ২ কালারে ডাভ সাবান বাজারে পাওয়া যায় । কালারের মধ্যে সাদা ও গোলাপী । আর ওজনের মধ্যে ৯০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম এবং ১৩৫ গ্রাম । নিচে কালার ও ওজন ভেদে Dove সাবানের দাম দেওয়া হলো ---
সাবানের নাম | সাবানের প্রকার | ওজন | দাম |
---|---|---|---|
Dove | White Beauty Bar | 90 Gram | 109 Taka |
Dove | White Beauty Bar | 135 Gram | 149 Taka |
Dove | Pink Beauty Bar | 135 Gram | 149 Taka |
Dove | Pink Beauty Bar | 100 Gram | 117 Taka |
ডাভ সাবান এর উপকারিতা
Dove সাবান নিয়ে আলোচনার প্রথমেই বলেছি এই সাবানটি ত্বকের
জন্য খুবই উপকারী । ডাভ সাবান নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক উপকার পাওয়া যায় । যারা
সাবান ব্যবহার করতে তার এর উপকারীতা সম্পর্কে জানতে চান । নিচে ডাভ সাবান এর উপকারিতা
সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ---
ত্বক পরিস্কারে কার্যকরী
ডাভ সাবানে রয়েছে আলফা ও বিটা হাইড্রক্সাইড নামক উপাদান
রয়েছে । যেটা ত্বকে জমে থাকা অতিরিক্ত ময়লা এবং মৃত কোষ পরিস্কার করে ত্বকের কোনো প্রকার
ক্ষতি না করে ।
আদ্রতা প্রদান করে
অনেকের ত্বক তৈলাক্ত । এই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ডাভ সাবান
অনেক বেশি উপকারী । ডাব সাবান ত্বকের অতিরিক্ত তেল পরিস্কার করে আদ্রতা বজায় রাখতে
সহায়তা করে । এই সাবান ত্বকের জ্বালাপোড়া করাও রোধ করে এবং ত্বকের রংকে আরও উজ্জল
করে তোলে ।
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার
ডাভ সাবান ব্যবহারের ফলে আপনার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
পাবেন রাড়তি উপকারিতা যা ময়েশ্চারাইজারের মতো কাজ করে । এই সাবান ব্যবহারের ফলে আপনার
কোমল ত্বকে দাগ পড়া রোধ করে, ত্বকের রুক্ষতা দুর করে । কেউ এই সাবান নিয়েতিম ব্যবহারের
ফলে ত্বকে ময়শ্চারাইজিংয় এর কাজ করে যার ফলে ত্বক নরম এবং কোমল রাখতে সাহায্য করে
।
ত্বকের পুষ্টি প্রদান
ডাভ সাবান নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকে নিয়মিত প্রয়োজনীয়
পুষ্টি প্রদান করে । ডোভ সাবান নিয়মিত ব্যবহারে নিশ্চিত করে ত্বকের বাহ্যিক পুষ্টি,
যার ফলে ত্বক হয় এবং স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ।
অ্যান্টি-অ্যালার্জিক সাবান
এই সাবানে রয়েছে হাইপোলার্জেনিক উপাদান । এই উপাদান
তৈলাক্ত ত্বককে প্রতিক্রিয়া এবং ভেঙে যাওয়া থেকে বিরত রাখে । সহজ বাংলায় এই সাবান
ব্যবহারের ফলে অ্যালার্জিক সমস্যা হয় না । এই বাসান ত্বকের জন্য উপযুক্ত বলেও পরিচিত
।
ডাব সাবান ব্যবহারের নিয়ম
অনেকেই ডাব সাবান ব্যবহারের নিয়ম জানতে চান । ডাব সাবান
ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে প্রথমে আপনার মুখ ভালো ভাবে ভিজিয়ে নিবেন । তারপর ডাভ সাবান
ঘসে ফ্যানা তৈরী করুন । এই ফ্যানা সহকারে ১ মিনিট মুখ ম্যাসাজ করুন । এরপর পানি দিয়ে
ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।
ডাভ সাবান কি দিয়ে তৈরি
ডাভ সাবান মানুষের মুখ ও শরীরের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে থাকে
। ডাভ সাবান সিন্থেটিক সার্ফ্যাক্ট্যান্টস নামক একটি উপাদান, উদ্ভিজ্জ তেল (Palm
Kernel) এবং পশুর চর্বির লবণ থেকে সাধারণত তৈরি হয়ে থাকে ।
আসল ডাভ সাবান চেনার উপায়
আসল ডাভ সাবানের প্যাকেটের গায়ে সিরিয়াল নাম্বার, লোগো, বার কোড, দেশের নাম, ঠিকানা, মেইল এ্যাড্রেস এগুলো দেওয়া থাকবে । নামের বানানের ক্ষেত্রে ভুল দেখতে পাবেন । সাবানের প্যাকেট এর তারতম্য দেখতে পাবেন । বিশেষ করে আপনার হাতে যদি স্মার্টফোন থাকে তাহলে সাবানের বার কোড স্ক্যান করলে সব তথ্য দেখা যাবে । আর নকলটাতে তা পাবেন না ।
এই রকম আরো পোস্ট পেতে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।
অন্য পোস্টঃ শারীরিক সুস্থতায় ব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তা | ব্যায়ামের সুফল