ভিটামিন সি এর উপকারিতা ও অপকারিতা | ভিটামিন সি বিস্তারিত

ভিটামিন সি এর উপকারিতা ও অপকারিতা | ভিটামিন সি বিস্তারিতভিটামিন এর অপর নাম হচ্ছে প্রান শক্তি । আর ভিটামিন-সি হচ্ছে একটি প্রানশক্তি বা ভিটামিন । ভিটামিন-সি এর রাসায়নিক নাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড (Ascorbic Acid) । এটি একটি জৈব অম্ল, যা বিভিন্ন শাকসবজি, ফল-মুল প্রভৃতিতে পাওয়া যায় । ভিটামিন সি এর রাসায়নিক সংকেত C6H8O6 এটি একটি সাদা দানাদার পদার্থ । মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য এটি একটি প্রয়োজনীয় প্রান শক্তি এবং পুষ্টি উপাদান ।

আজকের ব্লগ পোস্টে “ভিটামিন সি এর উপকারিতা ও অপকারিতা | ভিটামিন সি বিস্তারিত” নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে । তাহলে চলুন শুরু করা যাক ।

আরও পড়ুনঃ শারীরিক সুস্থতায় ব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তা | ব্যায়ামের সুফল

ভিটামিন সি এর উপকারিতা ও অপকারিতা | ভিটামিন সি বিস্তারিত

আরও পড়ুনঃ কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা কি | কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম কি

ভিটামিন সি কি?

এই ভিটামিন এক ধরনের প্রানশক্তি যা ভিটামিন সি নামে পরিচিত । এই ভিটামিন সাধারণত টক জাতীয় খাবার, বিভিন্ন শাকসবজি ও ফলমুল-এ পাওয়া যায় । ভিটামিন সি মানবদেহের একটি অপরিহার্য ভিটামিন । এই ভিটামিনের অভাবে মানবদেহে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা ও রোগ হতে পারে । ভিটামিন সি অ্যাসকরবিক অ্যাসিড (Ascorbic Acid) নামেও পরিচিত ।

ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম কি?

অ্যাসকরবিক অ্যাসিড (Ascorbic Acid) হচ্ছে ভিটামিন-সি এর রাসায়নিক নাম । ভিটামিন সি এর রাসায়নিক সংকেত হচ্ছে C6H8O6 এবং এটি একটি সাদা দানাদার পদার্থ ।

স্কার্ভি রোগ কোন ভিটামিনের অভাবে হয়?

ভিটামিন-সি সাধারণত টকজাতীয় খাবারে থাকে । আর মানব দেহে এই ভিটামিন-সি এর অভাব দেখা দিলে স্কার্ভি নামক রোগ হয়ে থাকে ।

আরও পড়ুনঃ মুখের গন্ধ দূর করার উপায় কি | মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি

ভিটামিন সি এর উপকারিতা ও অপকারিতা | ভিটামিন সি বিস্তারিত
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার

এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন মূলত শাকসবজিতেই পাওয়া যায় । লেবু ও লেবুজাতীয় সব টক ফল ভিটামিন সির চমৎকার উৎস । কমলা, মালটা, আঙুর, পেঁপে, আনারস, জাম ইত্যাদি ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি । সবুজ পাতা গোত্রের সব সবজি ও শাকেও পাওয়া যাবে এই ভিটামিন । এ ছাড়া কিছু মসলাজাতীয় উদ্ভিদ যেমন: কাঁচা মরিচ, পুদিনাপাতা বা পার্সলেপাতা ভিটামিন সির ভালো উৎস ।

ভিটামিন সি এর অভাবজনিত সমস্যা ও রোগ

শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি হলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় । তাই ভিটামিন সি এর অভাবজনিত লক্ষণ গুলো প্রকাশ হওয়া মাত্রই সতর্ক হওয়া উচিত । ভিটামিন সি এর অভাবে যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় তা নিম্নরূপ —-

শুষ্ক ত্বক

ভিটামিন-সি ত্বকের কোলাজেন উপাদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । ভিটামিন সি এর অভাব হলে ত্বক শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে । এর ফলে ত্বক নিস্তেজ এবং প্রাণহীন হয়ে ওঠার পাশাপাশি কুঁচকে যায় ।

ক্ষতের নিরাময়ে ধীরগতি

ভিটামিন সি কোলাজেন উপাদানের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে । তাই শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি দেখা দিলে ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়া অত্যান্ত ধীরে হয় ।

দাঁত ও মাড়ি থেকে রক্তপাত

ভিটামিন সি শুধু ত্বকের ক্ষেত্রে নয়, দাঁতের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতির কারণে কোলাজেনের গঠন দুর্বল হয়, ফলে মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে ।

অস্থিসন্ধির ব্যথা

অস্থিসন্ধির কার্টিলেজ প্রাথমিকভাবে কোলাজেন দিয়ে তৈরি । তাই ভিটামিন সি এর অভাব হলে হাড়ের চারপাশের কম প্যাডিং হয় । এর ফলে একটুতেই অস্থিসন্ধিতে ব্যথা অনুভব হতে পারে ।

দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

ভিটামিন সি এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ । এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে অত্যন্ত সহায়ক । তাই শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দিলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে । যার কারনে মানুষের ঘনঘন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় ।

অবিরাম ক্লান্তি

ভিটামিন সি এর অভাবজনিত লক্ষণ হলো সব সময় ক্লান্তি বোধ করা । এর অভাবে দুর্বল লাগা এবং রক্তশূন্যতাও হতে পারে । তাছাড়া ভিটামিন সি এর অভাবে কাজ করায় অনীহা, আলস্য এবং শিক্ষিত হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে ।

ভিটামিন সি এর উপকারিতা

ভিটামিন সি এর উপকারিতা অনেক । তার মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উপকারিতার কথা নিন্মে আলোচনা করা হলো ----

১। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন-সি হৃদরোগের ঝুকি কমাতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে । ভিটামিন-সি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং রক্তচাপ কমাতে পারে ও হার্টের শিরা গুলোকে স্মুথ রাখতে সাহায্য করে ।

২। রক্তের কলেস্টেরল কমায়

ভিটামিন-সি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি হ্রাস করে । ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল-মুল এবং শাকসবজি খাওয়ার ফলে হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে ।

৩। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

Johns Hopkins Medicine- এর একটি প্রতিবেদন বলছে, ভিটামিন-সি এর বেশি ডোজ মানব দেহের রক্তচাপ কমাতে সাহার্য করে । ভিটামিন-সি মুত্র বর্ধক হিসাবে কাজ করে ফলে কিডনি থেকে শরিরের সোডিয়াম এবং পানি বের করে দেয় । এর ফলে রক্তনালীর দেওয়ালকে চাপমুক্ত করে ।

৪। ইমিউনিটি বাড়ায়

ভিটাসিন-সি এর অভাবে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় । একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন-সি মানব দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ।

৫। ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে

এক গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন-সি কোলোরেক্টাল ক্যান্সারকে দমিয়ে রাখে । এছাড়া আরও অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন-সি মূত্রথলী, যকৃৎ, মলাশয় এবং অন্যান্য নানা ধরণের ক্যান্সারের কোষগুলির বৃদ্ধি কমিয়ে দেয় । এছাড়া ভিটামিন-সি ক্যান্সার চিকিৎসায় ভালো ফল দেয় ।

৬। চোখের স্বাস্থ্য ভালো করে

ভিটামিন সি গ্রহণের কারনে চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে যায় । এমনকি যারা নিয়মিত ভিটামিন সি গ্রহণ করেন তাদের চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি ২০ শতাংশ কম হয় । ভিটামিন সি চোখের রেটিনার কোষগুলোর সঠিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে । আর সে কারনে এই প্রয়োজনিয় ভিটামিন আপনার চোখের রক্তনালী গুলির স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহয়তা করে ।

৭। মাড়ির সমস্যা কমায়

ভিটামিন-সি এর অভাবে মাড়ির রোগ হতে পারে । ভিটামিন সি এর অভাবের প্রাথমিক লক্ষণ হলো মাড়ির রক্তপাত হওয়া । ভিটামিন-সি দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি ।

৮। এলার্জি প্রভাব কমায়

ভিটামিন-সি এলার্জির প্রভাব কমাতে সাহায্য করে, কারন এটি হিস্টামিনের নিঃসরণ কমিয়ে ফেলে, এর ফলে এলার্জি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় ।

৯। স্কারভি রোগ প্রতিরোধ করে

এই রোগটি এখন নেই বললেও চলে । মানব শরিরে ভিটামিন-সি এর অভাব হলে স্কার্ভি রোগ হয় । তবে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন-সি গ্রহনের ফলে এই রোগ নির্মুল হয় ।

১০। ওজন কমাতে সাহায্য করে

ভিটামিন-সি ওজন ও মেদ বৃদ্ধিতে বাঁধা দেয় । ভিটামিন-সি বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে, যার ফলে ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে ।

আরও পড়ুনঃ কচি ডাবের পানির উপকারিতা | ডাবের পানির উপকারিতা

ভিটামিন সি এর উপকারিতা ও অপকারিতা | ভিটামিন সি বিস্তারিত
ভিটামিন সি এর উৎস

ভিটামিন সি এর অপকারিতা

👉 শরীরের জন্য ভিটামিন সি অত্যান্ত প্রয়োজনীয় । কিন্তু প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি খাওয়া ক্ষতিকারক । কেননা, রক্তের সাথে মেশে না বলেই অতিরিক্ত ভিটামিন সি স্টোন বা পাথর হয়ে অনেক সময়েই জমা হয় কিডনিতে । এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে ।

👉 একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ দৈনিক ৬৫ থেকে ৯০ মিগ্রা ভিটামিন-সি খেতে পারেন । এর থেকে বেশি খেলেই ডায়রিয়া, বমি, গ্যাস, শারীরিক দুর্বলতা, লিভার-হার্ট এমনকি কিডনিতে স্টোন বা পাথর জমা হওয়ার মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে ।

👉 বিশেষজ্ঞ চিকিৎসতদের মতে ভিটামিন-সি বেশি খেলে গলা-বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাসের সমস্যা, বমিবমি ভাব, ডায়রিয়া এবং অনিদ্রায় ভুগতে পারে ।

👉 বেশি ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে । ভিটামিন-সি দিনে যদি ২ হাজার মিলিগ্রামের বেশি খাওয়া হয়, তাহলে গ্যাস, বমি এবং ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে ।

👉 ভিটামিন সি আয়রনের খুব ভালো শোষক । তাই বেশি ভিটামিন সি খাওয়া মানেই শরীরে আয়রনের আধিক্য । এতে লিভার, হৃদয়, প্যানক্রিয়াস, থাইরয়েড ক্ষতিগ্রস্ত হয় । চাপ পড়ে স্নায়ুতন্ত্রেও ।

👉 ভিটামিন সি রক্তে মেশে না । ফলে শরীরের কোষে জমে না । তাই বাড়তি ভিটামিন ইউরিনের আকারে বেরিয়ে যায় শরীর থেকে । অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা থাকে ।

👉 রক্তে মেশে না বলেই অতিরিক্ত ভিটামিন সি স্টোন বা পাথর হয়ে অনেক সময়েই তা কিডনিতে জমা হয় । এতে কিডনির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল পরিমাণে থেকে যায় । তাই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি খেতে পারেন, অবশ্যই তা নিয়ম মেনে খেতে হবে ।

ত্বকের জন্য ভিটামিন সি

ভিটামিন সি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে । এর পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে । অতিরিক্ত সূর্যের আলোর কারনে ত্বকের প্রদাহ, লালচেভাব দেখা দিলে ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি যুক্ত সেরাম বা ক্রিম ব্যবহার করা উপকারী । এটা লালচেভাব কমায় ও ত্বকের রংয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে ।

ভিটামিন সি ট্যাবলেট এর নাম

বাজারে অনেক রকম ভিটামিন-সি ট্যাবলেট ফর্মে পাবেন । এই ট্যাবলে চুষে খেতে হয় । তবে স্কয়ার কোম্পানির এই ঔষুধটি খুব ভালো । ভিটামিন সি ট্যাবলেট এর নাম Tab. Vitamin C [Ascorbic acid] ২৫০ মি.গ্রা. – ৫০০ মি.গ্রা. । কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ।

ভিটামিন সি ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতিদিন ১ টি ট্যাবলেট, স্কার্ভি রোগ চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন ১-২ টি ট্যাবলেট, তবে অবস্থার তীব্রতার উপর নির্ভর করে ডোজ বাড়ানো যেতে পারে । প্রবীণ মানুষদের স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য প্রতিদিন ১-২ টি ট্যাবলেট । সাধারন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিদিন ১ টি ট্যাবলেট বা চিকিৎসকে পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন । তবে দৈনিক সর্বাধিক নিরাপদ ডোজ ২০০০ মি.গ্রা. ।

ভিটামিন সি ট্যাবলেট এর দাম

সাধারণত চুষে খওয়ার ভিটামিন সি ট্যাবলেট এর দাম হচ্ছে - Tab. Vitamin C [Ascorbic acid] ২৫০ মি.গ্রা. প্রতি পিস – ২ টাকা এবং Tab. Vitamin C [Ascorbic acid] ৫০০ মি.গ্রা. ৩ টাকা ৫০ পয়সা ।

ভিটামিন-সি ট্যাবলেট কোন কোন রোগে ব্যবহৃত হয়?

স্কার্ভি রোগ, মহিলাদের গর্ভাবস্থায়, মহিলাদের স্তন্যদানকালে, শরিরে ইনফেকশন, শরিরে মারাত্মক ক্ষত, শরিরের কোথাও পুড়ে যাওয়া, হঠাৎ ঠাণ্ডা লাগা, মানবদেহে অস্ত্রোপচারের পর, জ্বর হলে, প্রচন্ড স্নায়ুচাপ (মানসিক চাপ), পেপটিক আলসার (পেটের), ক্যান্সার হলে, হেমাটুরিয়া হলে, দাঁতের ক্ষত (দাঁতের সমস্যা), মাড়ির সংক্রমণ (মাড়ির সমস্যা), মুখের ত্বকে ব্রন, মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব, হাড়ের ভঙ্গুরতা (হাড়ের নম্রতা), পায়ের আলসার (এক রকম ঘা), হে- ফিভার (এলার্জি) এবং লেভোডোপা বিষাক্ততা (ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়া) প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় নির্দেশ করা হয়ে থাকে ।

ভিটামিন সি ট্যাবলেট দিয়ে রূপচর্চা

ভিটামিন সি যেমন মানব শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তেমনি মানুষের ত্বকও ভালো রাখতেও সহায়তা করে । ভিটামিন- সি দিয়ে সিরাম তৈরি করা যায় । এই সিরামের পেছনে কাড়িকাড়ি টাকা খরচ না করে বাড়িতেই ভিটামিন-সি সিরাম তৈরির উপায় সম্পর্কে জানানো হলো । একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে দেওয়া হলো ।

যেভাবে কাজ করে

সাধারণত ত্বক টান টান রাখতে ‘কোলাজেন’ বিশেষ ভাবে সহায়তা করে এবং তারুণ্য বজায় রাখে । ভিটামিন-সি ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বাড়িয়ে ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখতে সহায়তা করে ।

সিরাম তৈরির উপকরণ

একটি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল, ভিটামিন-সি এর দুইটা ট্যাবলেট, এক চামচ তরল গ্লিসারিন, দুই চামচ গোলাপজল এবং একটি পরিস্কার কাঁচ বা সিরামিকের পাত্র নিন ।

পদ্ধতি

প্রথমে ভিটামিন সি এর ট্যাবলেট গুঁড়া করে কাচের পাত্রে নিন । এতে গোলাপ জল এবং গ্লিসারিন ঢেলে ভালোভাবে মিক্স করে নিন । ভিটামিনের গুঁড়া সম্পূর্ণ ভাবে গেলে এরপর এতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তরল পদার্থটি যোগ করে ভালো মতো মিক্স করে সেটি অন্ধকার ও ঠাণ্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন ।

সিরাম ব্যবহার বিধি

সাধারণত ত্বক পরিষ্কারের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের আগে এই সিরাম ত্বকে ব্যবহার করতে হয় । কয়েক ফোঁটা সিরাম নিয়ে হাতে, গলায় এবং শরিরের বিভিন্ন অংশে হালকা করে মেখে নিনি । এভাবে একাবার করে ব্যবহার করতে পারেন । ঘরে নিজের হাতে বানানো এই সিরাম সপ্তাহ দুই ভালো থাকে । এরপর আবার নতুন করে বানিয়ে ব্যবহার করুন ।


এই রকম আরো পোস্ট পেতে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।


আরও পড়ুনঃ রুই মাছের উপকারিতা | রুই মাছ

Previous Post Next Post