চুলে শ্যাম্পু করার সঠিক পদ্ধতি | চুলে শ্যাম্পু করার পদ্ধতি - আপনার মাথার চুল যদি হয় স্বাস্থ্য দীপ্ত, ঝলমলে এবং মসৃণ তাহলে অবশ্যই আপনার নিজের কাছে ভালো লাগবে । আর চুলকে স্বাস্থ্যদীপ্ত, ঝলমলে এবং মসৃণ করতে হলে আপনাকে সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে চুল পরিষ্কার করতে হবে এবং চুলের যত্ন নিতে হবে । আজকের ব্লগ পোস্টে চুলে শ্যাম্পু করার সঠিক পদ্ধতি | চুলে শ্যাম্পু করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো ।
আরও পড়ুনঃ ব্রণ দূর করার উপায় কি | ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়
আরও পড়ুনঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় | Ways to Increase Skin Radiance
আপনি যদি সুন্দর ও সতেজ তারুণ্যদীপ্ত চুল চান তাহলে আপনাকে নিয়ম অনুযায়ী চুলে শ্যাম্পু করতে হবে । যদি আপনার চুল সুস্থ ও স্বাভাবিক না হয় তাহলে আপনার নিজের কাছেই অনেকটা খারাপ লাগবে এবং মানুষের সামনে যেতেও ইতঃস্তত বোধ করবেন । তা হলে নিজেই জেনে নিন -----
চুলে শ্যাম্পু করার সঠিক পদ্ধতি
বিভিন্ন
ধরনের রাসায়নিক বা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে মাথার চুল বিশেষ ভাবে পরিষ্কার করার
পদ্ধতি হচ্ছে শ্যাম্পু করা । তবে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ও মাথার চুল পরিষ্কার করতে
পারেন । যেমন- রিঠা ফল দিয়ে আপনি আপনার মাথার চুল পরিষ্কার করতে পারেন । তবে
শ্যাম্পু ক্রয় করার আগে দেখে নিবেন এটাতে যেন ক্ষতিকারক কেমিক্যাল না থাকে । এ
ব্যাপারে ধারনা থাকা আপনার অবশ্যই কর্তব্য ।
সপ্তাহে কতবার শ্যাম্পু করতে হবে?
শ্যাম্পু
করার ব্যাপারে কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই । তবে প্রতিদিন শ্যাম্পু দরকার হলে তার
পরিমাণ ১ চামচ এর বেশি হওয়া ঠিক নয় । কারণ শ্যাম্পুর পরিমাণ বেশি হলে মাথার
ত্বকের তেলের আস্তরন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ।
শ্যাম্পু
করার সময় মোটেই সাবান ব্যবহার করবেন না । শ্যাম্পু করা শেষে চুল ভালো করে ধুয়ে
নেবেন ঠান্ডা পানি দিয়ে । তারপর চুল শুকিয়ে অবশ্যই কন্ডিশনার লাগাবেন ।
রাসায়নিক কন্ডিশনারের বদলে লাগাতে পারেন পাতিলেবুর রস, চা পাতার পানি বা অন্যান্য
লেবুর রস ইত্যাদি ।
চুলে শ্যাম্পু করার পদ্ধতি
👉 আঙ্গুল
দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন ।
👉 মাথা
ঝুকে চুল সামনে এ গিয়ে ভাল করে ভিজিয়ে নিন সমস্ত চুল ।
👉 দু
হাতের তালুতে শ্যাম্পু নিয়ে মাথার তালুতে মাখান তারপর ঘষে ঘষে ফেনা করুন সমস্ত
মাথায় ।
👉 প্রচুর
পানি ঢেলে মাথা ধুয়ে নিন, যাতে চুলে একটুও শ্যাম্পু লেগে না থাকে ।
👉 অনেক
সময় আমরা তাড়াহুড়া করে শ্যাম্পু ব্যবহার করার পর ভালো করে মাথার চুল পরিস্কার
করি না । এটা অত্যান্ত ক্ষতিকর ।
👉 শ্যাম্পু
করে চুল ধোয়ার পর চুলে অবশ্যই হেয়ার কন্ডিশনার মাখবেন অথবা কন্ডিশনারের বিভিন্ন
প্রাকৃতিক উপাদানও ব্যবহার করতে পারেন ।
চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান
👉 যাদের
চুল ঘন কালো, চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধোয়ার পর তারা ২ লিটার পানিতে দুই চামচ ভিনেগার
মিশিয়ে সেই পানি মাথায় ঢালবেন যে সমস্ত চুল ভিজে ।
👉 শুষ্ক
স্বাভাবিক ও তৈলাক্ত সব ধরনের চুলের জন্য দুই লিটার পানিতে দুইটি বড় পাকা পাতি
লেবুর রস মিশিয়ে ছেঁকে চুল ধুয়ে নিন ।
👉 ৩
লিটার পানিতে এক মুঠো পার্শেলি পাতা ফেলে জাল দিয়ে ফুটিয়ে নিন । ঠান্ডা হলে
ছেঁকে সেই পানিতে ধুয়ে নেবেন শ্যাম্পু করা চুল ।
👉 ২
লিটার পানিতে ২ চামচ চা পাতা মিশিয়ে আগুনে ফুটিয়ে নিবেন । ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিয়ে
আধা চা চামচ পাতিলেবুর রস মেশাবেন । তারপর শ্যাম্পু শেষে চুল ধুয়ে নেবেন এই পানি
দিয়ে ।
শ্যাম্পু করার পর চুলের যত্ন
👉 শ্যাম্পু
করার পর তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চুল না ঘষে জড়িয়ে রাখবেন । কয়েক মিনিটের মধ্যেই
পানি শুষে নেবে গামছা তোয়ালে ।
👉 এরপর
ফ্যানের বাতাসে বা প্রাকৃতিক বাতাসে চুল শুকাতে হবে । যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুল
শুকিয়ে ফেলা উচিত । কারণ, চুলের গোড়া ভেজা থাকলে চুল উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি
থাকে ।
👉 চুলকে
প্রাণবন্ত করতে করণীয় । চুলের যত্ন নিয়মিতভাবে মাথার তালুতে তেল মালিশ করতে হবে
। হালকা গরম অলিভ অয়েল তেল হলে ভালো হয় ।
👉 শ্যাম্পু
করার আগের দিন রাতে পুরো চুলে ভালোভাবে তেল লাগাবেন । তারপর চুল আঁচড়ে নেবেন ।
এতে তেলটা সমস্ত মাথায় ছড়িয়ে পড়বে এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে ।
👉 রোজ
১০ - ২০ বার করে চুল ব্রাশ করতে হবে । এতে আপনার চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন
বাড়বে এবং চুল শক্ত হবে ।
👉 প্রোটিনযুক্ত
আহার গ্রহণ করতে হবে ।
👉 যথেষ্ঠ
ঘাম ও প্রয়োজন । ঘামের অভাবে চুল, চামড়া ও চোখের ক্ষতি হতে পারে । এজন্য
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন ।
👉 চুলকে
সবসময় খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন ।
👉 চুল পরিষ্কার করতে সব সময় ন্যাচারাল কিছু ব্যবহার করুন । যথাসম্ভব কেমিক্যাল এড়িয়ে চলুন ।
এই রকম আরো রুপচর্চা বিষয়ক লেখা পেতে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।
আরও পড়ুনঃ ছেলেদের চেহারা সুন্দর করার খাবার | ছেলেদের চেহারা ফর্সা করার উপায়