মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা
কি | মাশরুমের স্বাস্থ্য উপকারিতা - আমাদের দেশে মাশরুম নিয়ে আলোচনা এবং মাশরুম চাষ
বেশ আগে থেকেই হচ্ছে । আমাদের দেশে মাশরুম একটি প্রচলিত নাম ও খাবার । এই মাশরুম দিয়ে
আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক প্রকার ঔষধও তৈরী হচ্ছে । আজকের ব্লগ পোস্টে মাশরুম খাওয়ার
উপকারিতা কি | মাশরুমের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ।
আরও পড়ুনঃ কচি ডাবের পানির উপকারিতা | ডাবের পানির উপকারিতা
আরও পড়ুনঃ শরীর দুর্বল থেকে মুক্তির উপায় | শরীর দুর্বল হলে করণীয়
বন্ধুরা, আমাদের ঘরের আঙ্গিনায় বা বন-জঙ্গলে ছাতার মতো ছত্রাক (মাশরুম) জন্মে সেগুলো খাওয়ার অনুপযোগী এবং বিষাক্ত । প্রচীনকালে গ্রীক অধিবাসিরা যোদ্ধাদের শক্তি বৃদ্ধির খাবার হিসাবে মাশরুমকে গ্রহন করতো । রোমান অধিবাসিরা মাশরুমকে ঈশ্বরের খাবার হিসাবে মনে করে । চীনের মানুষেরা মাশরুমকে দীর্ঘ্যজীবি হবার খাদ্য হিসাবে গন্য করে ।
মাশরুম কি?
মাশরুম হচ্ছে এক প্রকার
অপুস্পক জাতীয় উদ্ভিদ । মাশরুমকে সাধারণত সবজি হিসাবে ব্যবহার করা হয় এবং এটি অত্যান্ত
পুষ্টিকর একটি খাবার । এটি ছত্রাক বা ইউমাইসেটিস গোত্রের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ । অন্যান্য
সবুজ কণাযুক্ত উদ্ভিদের মতো মাশরুমের শরীরে সবুজ কণা বা Chlorophyll নাই বিধায় এরা
স্বাভাবিক ভাবে খাদ্য উৎপাদন বা খাদ্য প্রস্থুত করতে করতে পারে না । সে কারণে এরা খাদ্যের
জন্য বা খাদ্য উৎপাদনের জন্য অন্য প্রাণীজ এবং উদ্ভিজ বস্তুর উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে
।
মাশরুম কত প্রকার?
মাশরুম বিশেষজ্ঞরা সারা
বিশ্বে প্রায় তিন লাখ ছত্রাক সনাক্ত করেছেন । তারা প্রতিটি প্রজাতির মাশরুমকে ল্যাবরেটরিতে
পরীক্ষার মাধ্যমে খাবার উপযোগী মাশরুম বাছাই করেছেন পুষ্টি এবং খাদ্যগুন বিচার-বিশ্লেষন
করে । এগুলোর মধ্যে প্রায় দুই লাখ নব্বই হাজার প্রজাতির মাশরুম বিষাক্ত এবং খাওয়ার
অনুপযুক্ত ।
মোটামুটি বিষাক্ত কম এমন
মাশরুম নিয়ে গবেষনার পর মাত্র ১০ শ্রেনীর মাশরুম খাওয়ার উপযোগী বলে উল্লেখ করা হয়েছে
। এর মধ্যে ঋষি, গুটি বা বাটন, মিল্ক হোয়াইট, ওয়েস্টার এবং স্ট্র মাশরুমের চাষ করা
হয়, যা শত ভাগ খাওয়ার উপযোগী । বাংলাদেশেও এগুলো চাষ করা হয় ।
রান্না করা মাশরুম |
মাশরুমের পুষ্টিগুন
প্রতি ১০০ গ্রাম মাশরুমে
আছে শর্করা, স্নেহ পদার্থ, প্রোটিন । ভিটামিন, যথা - থায়ামিন (বি১), রাইবোফ্লেভিন
(বি২), নায়াসিন (বি৩), প্যানটোথেনিক, অ্যাসিড (বি৫), ভিটামিন সি । খনিজ দ্রব্যের মধ্যে
আছে – ক্যালসিয়াম, কপার, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং জিংক ।
মাশরুম খাবার নিয়ম
মাশরুমে আছে প্রচুর পরিমান
ভিটামিন, প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, মিনারেল, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এ্যান্টিবায়োটিক
। বাড়ির উঠানে বা ঘরের পাশে বা ঝোঁপ-ঝাঁড়ে যে ব্যাঁঙে ছাতার মতো ছত্রাক বা মাশরুম দেখা
যায় এগুলো বিষাক্ত বা খাওয়া একেবারে নিষেধ ।
তবে স্বাস্থ্য সম্মত যে
মাশরুম গুলো চাষ এবং অর্গানিক বা জৈব ভাবে উৎপন্ন হয় এগুলো ১০০% খাওয়া যাবে । এই মাশরুমে
পেনিসিলিন নামক এক ধরনের এ্যান্টিবায়োটিক থাকে যা মানব শরীরের জন্য অনেক উপকারি । মাশরুম
খেতে খুব সুস্বাদু এবং মজাদার । তাই আপনার খাদ্য তালিকায় এটিকে রাখতে পারেন নিঃসন্দেহে
।
মাশরুমকে আপনি আপনার খাবারের
তালিকায় সবজি হিসাবে বা সবজির সাথে, মাংসের পরিবর্তে, মাশরুমের ফ্রাই, মাশরুমের সালাদ,
মাছের সাথে মাশরুম, মাশরুমের চপ, মাশরুমের আচার, মাশরুম চিকেন স্যুপ, মাশরুমের কোপ্তা,
মাশরুম কর্ণ স্যুপ, যে কোনো তরকারির সাথে রান্না করতে পারেন ।
কোন মাশরুম খাওয়া যায়?
সারা পৃথিবীতে লাখ লাখ
শ্রেণীর মাশরুম পাওয়া গেলেও মাত্র ১০ শ্রেণীর মাশরুম খাওয়ার উপযোগী । এদের মধ্যে স্ট্র
মাশরুম, ওয়েস্টার মাশরুম, মিল্ক হোয়াইট মাশরুম, গুটি বা বাটন মাশরুম এবং ঋষি উল্লেখযোগ্য
। এই জাতগুলো আমাদের দেশেও হয়ে থাকে ।
মাশরুম কোথায় পাওয়া যায়?
আমাদের দেশে সাধারণত বিভিন্ন
ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বিভিন্ন ধরনে মাশরুম পাওয়া যায় । এগুলো আপনি আস্ত এবং শুকনো
গুড়ো বা পাওডার বা ওয়েস্টার হিসাবে পাবেন । এছাড়া বাংলাদেশ মাশরুম ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় মাশরুম পাবেন । এছাড়া বিভিন্ন জেলাতে স্ব-উদ্যোগে অনেকেই
মাশরুম চাষ করে থাকে, তাদের মাধ্যমেও পাবেন ।
মাশরুম এর দাম কত?
আগেই আলোচনা করেছি মাশরুম
দুই ভাবে পাওয়া যায় । একটি হচ্ছে আস্ত বা তাজা যার প্রতি কেজি হচ্ছে ২০০ - ২৫০ টাকা,
আরেকটি হচ্ছে গুড়ো বা পাওডার বা ওয়েস্টার মাশরুম যার প্রতি কেজি ১২০০ - ১৪০০ টাকা ।
মাশরুম আমিষ না নিরামিষ?
একটি প্রোটিনের পূর্বশর্ত
হলো মনেব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় নয়টি এ্যাসিডের উপস্থিতি । দরকারি সে নয়টি অত্যাবশ্যকীয়
এ্যাসিডই মাশরুমের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে ।
আর তাই মাশরুম মানবদেহের
জন্য উপকারী ও ঔষধিগুন সমৃদ্ধ একটি খাবার । ঔষধিগুন সমৃদ্ধ ও সুস্বাদু এই খাবারে রয়েছে
ভিটামিন, প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, মিনারেল, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং এ্যান্টিবায়োটিক
।
এটি আপনি আমিষের পরিবর্তে
আপনার দৈনিক খাবারের তালিকাতে রাখতে পারেন । মাশরুমের স্বাদ, পুষ্টিগুন এবং ঔষধিগুন
সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি সারা বিশ্বে অত্যান্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনেক আগে থেকেই । আমাদের
বাংলাদেশেও সে প্রচলন চালু হয়েছে ।
মাশরুম কি হালল?
হ্যাঁ, অবশ্যই হালাল খাবার
। কারণ যে খাবার মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এমন খাবারকে ইসলাম খাবার হিসাবে হারাম করেছে
। মাশরুমে খাবার হিসাবে অত্যান্ত উপাকারি ও ঔষধিগুন সমৃদ্ধ । সুতারাং এটি হালাল খাবার
।
মাশরুম চাষ পদ্ধতি
অনেকেই মাশরুম চাষ পদ্ধতি
সম্পর্কে জানতে চান । মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশের মাশরুম
ফাউন্ডেশন আগ্রহীদের সহযোগীতা করে থাকে । আপনি যদি মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে
চান তাহলে আপনার জেলার কৃষি অধিদপ্তর অথবা মাশরুম ফাউন্ডেশনে যোগাযোগ করুন, তারাই আপনাকে
সার্বিক সহযোগীতা করবে ।
বাংলাদেশে মাশরুম চাষ
দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, কারণ এটি বেকার সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি আমিষের বিকল্প
হিসাবে চাহিদা পূরণ করছে । অনেক বেকার যুবক যুবতি স্বনির্ভর হয়েছে এই মাশরুম চাষের
মাধ্যমে । আমাদের দেশে কৃষি অধিদপ্তর এবং মাশরুম ফাউন্ডেশন এর চাষাবাদের জন্য আগ্রহীদের
সহযোগীতা করে থাকে । বাংলাদেশের অনেক জেলায় এবং বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাশরুম চাষ হচ্ছে
।
মাশরুম চাষ পদ্ধতি বই pdf
মাশরুম চাষ অত্যান্ত লাভ
জনক একটি কাজ । আপনিও চাইলে এটির চাষ করতে পারেন । এখানে এর চাষাবাদ সম্পর্কে pdf লিংক
দেওয়া হলো প্রয়োজনে ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারেন ।
মাশরুমচাষ পদ্ধতি বই Pdf Download
মাশরুম পাউডার খাওয়ার নিয়ম
মাশরুম পাওডার বিভিন্ন
উপায়ে খাওয়া যায় । যেমন – স্যুপ তৈরি করে, চায়ের সাথে, তরল যে কোনো খাবারের সাথে মিশিয়ে
খেতে পারেন । এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যান্ত উপকারি একটি খাবার । আর এর খাবার
পদ্ধতি জানতে চাইলে ইউটিউবে সার্চ করলে অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন এর নিয়ম সম্পর্কে ।
লাল মাশরুম |
লাল মাশরুমের উপকারিতা
লাল মাশরুম অন্যান্য মাশরুমের
তুলনায় একটু আলাদা ধরনের । এটির স্বাদ এবং গন্ধ অত্যন্ত আকর্ষণীয় । লাল মাশরুমে অতি
প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান অ্যামাইনো এসিড রয়েছে এবং এটি খেতে অত্যন্ত মিষ্টি এবং সুস্বাদু
।
লাল মাশরুম অনেক রোগের
জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার । যেমন – ক্যান্সার প্রতিরোধক, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা নিরাময়
করে, রক্তস্বল্পতা এবং অপুষ্টি রোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ইত্যাদি ।
এটি নিয়মিত খাবার ফলে
আপনার ত্বকে অন্যরকম একটি উজ্জ্বলতা দেখা দেবে যা অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং সুন্দর । তাই
নিয়মিত লাল মাশরুম খাওয়ার চেষ্টা করুন ।
গ্যানোডার্মা মাশরুম |
গ্যানোডার্মা মাশরুমের উপকারিতা
গ্যানোডার্মা মাশরুম পাউডার
এবং ট্যাবলেট ফরমে পাওয়া যায় । গ্যানোডার্মা এই মাশরুমের ঔষধ বাংলাদেশ ছাড়াও আরো ১৯৩
টি দেশে পাওয়া যায় যা অত্যন্ত উপকারী একটি ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
এই গ্যানোডার্মা মাশরুম
খাওয়ার ফলে আপনার দেহের ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়বে, দুধ প্রদানকারী মায়েদের দেহের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান,
হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী, হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করবে এবং দাঁত সুরক্ষা করবে, শিশুদের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, রক্তশূন্যতা দূর করবে এবং হেপাটাইটিস-বি রোগ প্রতিরোধক
হিসেবে কাজ করবে ইত্যাদি ।
ওয়েস্টার মাশরুম |
ওয়েস্টার মাশরুমের উপকারিতা
ওয়েস্টার মাশরুম হচ্ছে
মাশরুমের গুড়া বা পাউডার । উপরোক্ত আলোচনায় যতগুলো উপকারিতার কথা বলা হয়েছে এর থেকে
আরও অনেক উপকারিতা ওয়েস্টার মাশরুমের আপনি পাবেন । তবে এর জন্য আপনাকে নিয়মিত ভাবে
মাশরুম খেতে হবে ।
মাশরুমের উপকারিতা
মাশরুমের কথা আমরা সকলে জানলেও এর উপকারিতা সম্পর্কে
অনেকেই জানি না । আসলে মাশরুমের উপকারিতা অনেক । তার মধ্য থেকে কয়েকটি উপকারিতার কথা
নিচে বর্ননা করা হলো ---
পুষ্টি সমৃদ্ধ: মাশরুম ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি, পটাসিয়াম
এবং সেলেনিয়ামসহ মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান
প্রাপ্তির একটি ভাল উৎস ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কিছু ধরণের মাশরুমে
বিটা-গ্লুকান নামক উপাদান থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: মাশরুমে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানগুলি মানবদেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং হৃদরোগের
ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ।
ক্যান্সার রোধ করে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে মাশরুম
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে । বিশেষ করে যখন এটি স্তন, পাকস্থলী এবং কোলন ক্যান্সার
রোধ করতে সাহায্য করে ।
ওজন কমায়: যারা ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রনে রাখতে চান তাদের
জন্য মাশরুম একটি আদর্শ খাবার । কারণ মাশরুমে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকে, যা
ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি: অনেক মাশরুম আছে যা
খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নতীতে সহায়তা
করতে পারে ।
মন ভালো রাখে: কিছু কিছু মাশরুম আছে মন ভালো রাখতে সাহায্য
করে । বিজ্ঞানিরা গবেষণা করে দেখেছেন যে মাশরুম খাওয়ার ফলে হতাশা, উদ্বেগ দূরীভুত হয়
।
বার্ধক্য বিরোধী: কিছু মাশরুমে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
থাকে, যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে
সাহায্য করে ।
প্রদাহ বিরোধী: মাশরুমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে । যাদের প্রদাহ বিরোধী ঔষধ খাওয়াতে সমস্যা হয় তাদের জন্য
মাশরুম একটি আদর্শ খাবার ।
ব্যাকটেরিয়ারোধী: কিছু ধরণের মাশরুমের ব্যাকটেরিয়ারোধী
উপাদান পাওয়া গেছে, যা শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য
করতে পারে ।
হাড় মজবুত করে: মাশরুমে আছে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ডি
যা মানবদেহের হাড়কে শক্তিশালী ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে: যারা ডায়াবেটিস রোগী
তাদের জন্য মাশরুম একটি ভালো খাবার । মাশরুম রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য
করে ।
ত্বকের স্বাস্থ্য: মাশরুমে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানগুলি ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে ।
মাশরুমের অপকারিতা
মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা মতো মাশরুম খাওয়ার বিভিন্ন
অসুবিধাও রয়েছে । তার মধ্যে থেকে কয়েকটির কথা নিচে বর্ননা করা হলো ---
অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া: কিছু লোকের মাশরুমে অ্যালার্জির
প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যা আমবাত, চুলকানি এবং শ্বাস নিতে অসুবিধার মতো লক্ষণগুলির
কারণ হতে পারে ।
ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয়া: কিছু ধরণের মাশরুম কিছু নির্দিষ্ট
ওষুধের সাথে সেবন করলে সমস্যা হতে পারে, যেমন রক্ত পাতলাকারী বা ইমিউনোসপ্রেসেন্টস,
যা রক্তপাত বা অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে ।
বিষাক্ততা: কিছু মাশরুম বিষাক্ত এবং খাওয়া হলে গুরুতর
স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে । শুধুমাত্র সেই মাশরুমগুলি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ যা সঠিকভাবে
চিহ্নিত করা হয়েছে এবং খাওয়ার জন্য নিরাপদ ।
পুষ্টির মান: যদিও মাশরুমগুলি কিছু ভিটামিন এবং খনিজগুলির
একটি ভাল উৎস, এতে ক্যালোরি এবং প্রোটিনের পরিমাণ কম । তাই মাশরুমকে পুষ্টির প্রধান
উৎস হিসাবে ভাবাটা উচিত নয় ।
হজমের সমস্যা: অনেকের মাশরুম খাওয়ার পরে হজমের সমস্যা
হতে পারে, যেমন -- গ্যাস, পেট ফোলা বা ফাপা ভাব বা ডায়রিয়াও হতে পারে ।
খরচ: কিছু ধরণের মাশরুম বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে এবং
সবার জন্য সাশ্রয়ী নাও হতে পারে।
আপনার যদি কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে বা কোনও ওষুধ সেবন
করেন, তবে আপনার ডায়েটে মাশরুম অন্তর্ভুক্ত করার আগে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ
করা অতি গুরুত্বপূর্ণ ।
এই রকম আরো পোস্ট পেতে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।
আরও পড়ুনঃ মুখের গন্ধ দূর করার উপায় কি | মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি