এলার্জি দূর করার উপায় কি | এলার্জি দূর করার উপায়
- বন্ধুরা আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা এলার্জি সমস্যায় ভুগছেন অনেকদিন ধরেই
। এসমস্যার ভয়াবহতা সম্পর্কে যারা এর ভুক্তভোগী তারা ছাড়া অন্য কেউ বুঝবেন না । আবার
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভুক্তভোগীরা তাদের খাদ্য তালিকা থেকে হয়তো তাদের পছন্দের
খাবার বাদ দিয়ে দেন ।
চিকিৎসকদের মতে কিছু কিছু খাদ্য গ্রহণের পর কারো কারো
শরীরে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় । যেমন --- গরুর মাংস, দুধ,
ডিম, বাদাম, ইলিশ, চিংড়ি, বেগুন, কচু, কুমড়া ইত্যাদি ।
আরও পড়ুনঃ শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার সহজ উপায় | ওজন বাড়ানোর উপায়
আরও পড়ুনঃ টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এসব খাবার খাওয়ার পর কারো কারো শরীরে এলার্জির সমস্যা অত্যন্ত পরিমাণে বেড়ে যায় । এতে ত্বক চুলকাতে থাকে এবং সেইসঙ্গে চাকা চাকা হয়ে লাল হয়ে ফুলে যায় ।
বন্ধুরা, এই এলার্জির সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়ার
জন্য অনেকেই অনেক রকম পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকেন এবং বিভিন্ন ঔষধ গ্রহন করে থাকেন । কিন্তু
কখনই এই সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারেন না অনেকেই ।
বন্ধুরা, আজকের ব্লগ পোস্টে এমন একটি টিপস নিয়ে আপনাদের
সাথে আলোচনা করব যে টিপসটি ফলো করলে আপনার এই এলার্জি সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে পারেন
। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক ---
এলার্জি কি?
আমাদের চারপাশের পরিবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন
বস্তু কনা আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে ঢুকে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে বিরুপ প্রতিক্রিয়া
সৃষ্টি করে । তার ফলে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, এটাই মুলত
এলার্জি ।
যে বস্তু কনাগুলো প্রধানত এই ধরনের অসুখের প্রাদুর্ভাব
ঘটায় এগুলোকে এলার্জেস বলে । কারও কারও ধুলা-বালি থেকে এই এলার্জির সৃষ্টি হয় । আবার
অনেকের কিছু কিছু খাবারের থেকেও এই এলার্জি হতে পারে, যেমন --- গরুর মাংস, দুধ, ডিম,
বাদাম, ইলিশ, চিংড়ি, বেগুন, কচু, কুমড়া ইত্যাদি ।
এলার্জি দূর করার উপায়
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা দির্ঘ্যদিন থেকে এলার্জির
সমস্যায় ভুগছেন । আজকে এলার্জি দূর করার উপায় হিসাবে আজকে প্রাকৃতিক নিয়মে এলার্জি
দুর করার একটি উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
যে পদ্ধতিটি নিয়মিত ব্যাবহার করলে আপনি এলার্জি থেকে
মুক্তি পেতে পারেন তা হয়তো এখন আপনারা জানতে চান । এখন এলার্জি থেকে পরিত্রান পাওয়ার
জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা নিম্নে আলোচনা করা হল ---
ধাপ-১: প্রথমত আপনাকে ১ কেজি পরিমাণ নিম পাতা সংগ্রহ
করতে হবে এবং সেইসাথে ইসুবগুলের ভুষিও সংগ্রহ করে রাখবেন ।
ধাপ-২: যে নিম পাতা গুলো সংগ্রহ করেছেন এই নিম পাতা
গুলো ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে নেবেন ২ থেকে ৩দিন ।
ধাপ-৩: ভালো ভাবে রোদে শুকানোর পর নিম পাতা গুলো দেখবেন
দুই আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে গুড়া হয়ে যাচ্ছে, এমন অবস্থায় ব্লেন্ডারে পাতা গুলো দিয়ে
ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিন এবং গুড়া করার পর একটি কাচের পাত্রে গুড়াগুলো সংরক্ষন করুন
।
বন্ধুরা এবার আলোচনা করবো আপনি এই নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার
করে এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারেন ।
নিম পাতা গুড়া খাওয়ার নিয়ম
একটি গ্লাসে ১ চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিম পাতার গুড়া
নিন এবং সেই সাথে এক চা চামচ ইসুবগুলের ভুষি নিন ।
এবার একটি কাচের গ্লাসের মধ্যে নিম পাতা গুড়া, ইসুবগুল
এর ভূষি ও পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণটি ফেটিয়ে বা মিশিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিন ।
ঠিক আধা ঘন্টা পর এই মিশ্রণটি চামচ দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে
খেয়ে ফেলুন ।
নিমপাতার মিশ্রন কখন খাবেন
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে খাওয়ার পর এবং রাত্রে
শোয়ার আগে এই মিশ্রণটি নিয়মিত খাবেন । এই মিশ্রণ থেকে উপকার পেতে হলে কমপক্ষে এক
মাস খেতে হবে । এই মিশ্রণের কার্যকারিতা শুরু হতে কারো কারো ক্ষেত্রে এক মাসেরও বেশি
সময় লাগতে পারে ।
বন্ধুরা, আপনার যদি এলার্জির সমস্যা খুব বেশি পরিমাণে
হয় অথবা অনেকদিন আগের পুরাতন এলার্জি হয় তাহলে আপনি চেষ্টা করুন প্রতিদিন এই মিশ্রণটি
প্রতিদিন নিয়মিত খেতে । আপনি এই মিশ্রণটি দীর্ঘ সময় নিয়ে খেতে পারেন । এতে কোনো
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই ।
আপনি টানা একমাস এই মিশ্রনটি নিয়ম মাফিক খেলে এর উপকারিতা
আশাকরি বুঝতে পারবেন । এর আগে হয়তো আপনি আপনার পছন্দের খাবারগুলো খেতে পারতেন না ।
কিন্তু এই মিশ্রণটি খাওয়ার ফলে একটি সময় পর আবার আপনি আপনার পছন্দের খাবারগুলো খেতে
পারবেন ।
বন্ধুরা, নিমপাতা এবং ইসুবগুল এর ভুষির মিশ্রনটি নিয়মিত
খাওয়ার এক থেকে দেড় মাস পর আপনার পছন্দের খাবারগুলো খেতে পারবেন ।
তবে মনে রাখবেন, যে খাবারগুলো খেলে আপনার সমস্যা হতো
তা অল্প পরিমাণ খেয়ে পরীক্ষা করে দেখবেন । অধিক পরিমাণে খেলে হয়তো আবার আপনার সমস্যা
হতে পারে । তাই অল্প অল্প করে খেয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন বা দেখবেন ।
এই রকম আরো পোস্ট পেতে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।
আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত ওজন কমানোর সহজ উপায় | Easy Way to Lose Excess Weight