বাংলার নবাবী আমল | Nawab period of Bengal

বাংলার নবাবী আমল | Nawab period of Bengal - সম্রাট আওরঙ্গজেবের পর দিল্লির দুর্বল উত্তরাধিকারীদের সময়ে মুঘল শাসন শক্তিহীন হয়ে পড়ে । এ সুযোগে বাংলার সুবেদারগণ প্রায় স্বাধীনভাবে বাংলা শাসন করতে থাকেন । মুঘল আমলের এর যুগ নবাবী আমল নামে পরিচিত ।

বন্ধুরা, বাংলার নবাবী আমল প্রতিষ্ঠা করেন মুর্শিদকুলি খান ১৭০০ সালে আর স্বাধীন বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয় নবাব সিরাজউদ্দৌলার পলাশি প্রান্তরে পরাজয়ের মাধ্যমে ২৩ জুন ১৭৫৭ সালে । সেই তখন থেকে ইংরেজরা ২০০ বছর এদেশ শোষণ করে । এ ঘটনা আপনার সবাই জানেন । তারপরও আপনাদের উদ্দেশ্যে বাংলার নবাবী আমল নিয়ে লিখলাম । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ।

আরও পড়ুনঃ ইংরেজি নববর্ষের ইতিহাস | বিভিন্ন ভাষায় নববর্ষের শুভেচ্ছা

বাংলার নবাবী আমল | Nawab period of Bengal

অন্য পোস্টঃ ইলন মাস্ক টুইটার | টুইটার কিনলেন ইলন মাস্ক

বাংলার নবাব বংশের প্রতিষ্ঠাতা | মুর্শিদকুলি খান

মুর্শিদকুলি খান দক্ষিণ ভারতের একটি দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । দক্ষিণাত্যের শায়েস্তা খানের দেওয়ান হাজী শফি স্পাহানী অল্পবয়সি মুর্শিদকুলিকে ক্রয় করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন । প্রথমে তার নাম রাখা হয় মোহাম্মদ হাদী ।

এক পর্যায়ে তিনি বেরার প্রদেশের দেওয়ান হাজী আবদুল্লাহ খোরাসানীর অধীনে চাকরি নেন । রাজস্ব আদায়ের কাজে তার অভিজ্ঞতা সম্রাট আওরঙ্গজেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । ১৭০০ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেব মোহাম্মদ হাদীকে সম্মানসূচক “করতাল খান” উপাধি দিয়ে দেওয়ান (অর্থমন্ত্রী) হিসেবে বাংলায় পাঠান ।

কর্মদক্ষতার গুণে তিনি বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানিও লাভ করেন । এরপর সম্রাট তাকে “মুর্শিদকুলি খান” উপাধিতে ভূষিত করেন । পরে তাঁর নামানুসারে মকসুদাবাদের নাম পরিবর্তন করে “মুর্শিদাবাদ” রাখা হয় । সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যু হলে পুরো মুঘল সাম্রাজ্যে গোলযোগ দেখা দেয় ।

এসময় তিনিই বাংলার নায়েব এ নাজিম হিসাবে শাসন করতে থাকেন । এরপর বাহাদুর শাহের সময় মুর্শিদকুলি খানকে দক্ষিণাত্যে বদলি করা হয় । তবে বাংলার নতুন করে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে তাকে মাত্র দু'বছরের মধ্যে এখানে ফিরিয়ে আনা হয় । তার কর্মনিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ এর মধ্য দিয়েই সূচিত হয় বাংলার নবাবী শাসন ।

বাংলার নবাবী আমল
বাংলার নবাব বংশের প্রতিষ্ঠাতা মুর্শিদকুলি খান

বাংলার নবাবদের তালিকা

স্বাধীন বাংলার নবাব
মুর্শিদকুলী খান ১৭০০-৩০ জুন ১৭২৭
সুজাউদ্দীন মুহাম্মদ খান ৩০ জুন ১৭২৭ - ১৩ মার্চ ১৭৩৯
সরফরাজ খান ১৩ মার্চ ১৭৩৯ - ১০ এপ্রিল ১৭৪০
আলীবর্দী খান ১০ এপ্রিল ১৭৪০ - ১০ এপ্রিল ১৭৫৬
সিরাজউদ্দৌলা ১০ এপ্রিল ১৭৫৬ - ২৩ জুন ১৭৫৭
ব্রিটিশ বাংলার নবাব
মীরজাফর আলী খান ২৯ জুন ১৭৫৭ - ২০ অক্টোবর ১৭৬০
মীর কাসিম ২০ অক্টোবর ১৭৬০ - ১০ এপ্রিল ১৭৬৩
মীরজাফর আলী খান (দ্বিতীয় বার) ১০ এপ্রিল ১৯৬৩ - ৫ ফেব্রুয়ারি ১৭৬৫
নাজিমুদ্দীন আলী খান ১৭৬৫

পলাশীর যুদ্ধ

তারিখ: ২৩ জুন ১৭৫৭; ৫ শাওয়াল ১১৭০ হিজরি । বার: বৃহস্পতিবার । যুদ্ধ শুরু: সকাল ৮ টায় । যুদ্ধের স্থায়িত্বকাল: ৮ ঘন্টার মতো ।

নবাবের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন মীরমর্দান, মোহন লাল, খাজা আব্দুল হামিদ খান, নবসিং হাজারী প্রমুখের অধীনে নবাবের সেনারা । ফরাসি বীর সিনফ্রেও ছিলেন নবাবের পক্ষের অন্যদিকে মীরজাফর, ইয়ার লতিফ এবং রায়দুর্লভ রামের অধীনে নবাবের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সেনা নিষ্ক্রিয় ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে এবং পরিস্থিতি অবলম্বন অবলোকন করে ।

বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা

জন্ম: ১৭৩৩ । মৃত্যু: ৩ জুলাই ১৭৫৭ [সূত্র: বাংলাপিডিয়া] পূর্ণ নাম: মির্জা মুহাম্মদ সিরাজউদ্দৌলা । পিতা: জয়েন উদ্দীন । মাতা: আমেনা বেগম । খালা: ২ জন – ঘসেটি বেগম ও মায়মুনা বেগম । নানা: আলীবর্দী খান । স্ত্রী: লুৎফুন্নেসা বেগম । শ্বশুর: ইরিচ খাঁ । কন্যা: উম্মে জোহরা । সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা: মে ১৭৫২ । সিংহাসনে আরোহন: ৩ এপ্রিল ১৭৫৬, ২৩ বছর বয়সে । নবাব সিরাজউদ্দৌলার ক্ষমতার মেয়াদ কাল: ১৪ মাস ১৪ দিন ।

বাংলার নবাবী আমল
বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা

নবাব সিরাজউদ্দৌলা পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হন এবং যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যান । পাটনা যাওয়ার পথে মীর জাফরের জামাতা ও মীরনের ভগ্নিপতি মীর কাসিম এর মাধ্যমে ধরা পড়েন । এরপর মীর জাফরের পুত্র মীরনের নির্দেশে ৩ জুলাই ১৭৫৭ মোহাম্মদী বেগের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ।

মির্জা জয়নুল আবেদিন নামে এক ব্যক্তি নবাব সিরাজউদ্দৌলার দাফন করেন । নবাব আলীবর্দী খানের “আনন্দ উদ্যান” খোশবাগ এর গোলাপ বাগানে নানার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয় ।

অন্য পোস্টঃ 

পলাশীর বিশ্বাস ঘাতক

নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি ছিলেন মীরজাফর আলী খান । তার বিশ্বাসঘাতকতাতেই পলাশীর প্রান্তরে ২০০ বছরের জন্য বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয় । তাই “মীরজাফর” নামটি আজও বিশ্বাসঘাতকের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।

কতিপয় বিশ্বাসঘাতকের ষড়যন্ত্রের কারণে পলাশীর প্রান্তরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পরাজিত হন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা । পলাশীর ষড়যন্ত্রকারী ও বিশ্বাসঘাতকদের অন্যতম – মীরজাফর, জগৎশেঠ, মহারাজা রায়দুর্লভ, উমিচাঁদ, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র, রাজা রাজবল্লভ, মীর কাসিম, ইয়ার লতিফ খান, মহারাজা নন্দকুমার, মিরন, ঘষেটি বেগম, মোহাম্মদী বেগ, দানিশ শাহ বা দানা শাহ, রবার্ট ক্লাইভ, ওয়াটস, স্ক্রাফটন, ওয়াটসন ।

বাংলার নবাবী আমল
বিশ্বাস ঘাতক মীরজাফর আলী খান

অন্ধকূপ হত্যা

২০ জুন ১৭৫৬ নবাব সিরাজউদ্দৌলা কর্তৃক কলকাতা দখলের সময় ইংরেজ সেনাপতি জে জেড হলওয়েলের রচিত কল্পকাহিনীই অন্ধকূপ হত্যা । বলা হয় ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ১৪.১০ ফুট প্রস্থ ছোট একটি ঘরে ১৪৬ জন ইংরেজকে বন্দী রাখা হয় । এতে প্রচণ্ড গরমে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ১২৩ জনের মৃত্যু হয় । কল্পকাহিনীতে প্রভাবিত হয়ে ক্লাইভ ও ওয়াটসন কলকাতা দখল করে । ফলে সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের সাথে আলীনগর সন্ধি করতে বাধ্য হন ।

বর্গীদের আক্রমণ

বাংলায় বর্গী আক্রমন বলতে মারাঠা সাম্রাজ্য কর্তৃক ১৭৪২ থেকে ১৭৫১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ নয় বছরব্যাপী বারবার বাংলা আক্রমণ এবং এর ফলে বাংলার নবাবের সঙ্গে মারাঠাদের সংঘাত-সংঘর্ষ কে বোঝানো হয় ।

বর্গী শব্দটি মারাঠি বারগির শব্দের অপভ্রংশ । বারগির বলতে মারাঠা সাম্রাজ্যের সেই সব অশ্বারেহীদের বোঝাতো যারা অভিযানের সময় কেবল একটি সাত হাত লম্বা কম্বল ও বর্ষা নিয়ে বের হতো । মারাঠা নেতা ছত্রপতি শিবাজী কর্তৃক এদের ঘোড়া ও অস্ত্র সরবরাহ করা হতো । শেষ পর্যন্ত ১৭৫১ সালে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলায় মারাঠা আক্রমণের অবসান ঘটে । এ চুক্তির অংশ হিসেবে আলীবর্দী খান বর্গীদের হাতে উড়িষ্যা ছেড়ে দেন ।

শিয়াদের উত্থান

বাংলায় শিয়া মতবাদ প্রচারিত হয় সতের শতকের প্রথম ভাগে পারস্যের বণিক ও ভ্রমণকারীরা এ মতবাদ প্রচার করেন । মীর জুমলা ও শায়েস্তা খান এর মত বিখ্যাত মুঘল সুবেদাররা ছিলেন শিয়া । বাংলার মুঘল শাসক শাহ সুজা সুন্নি হলেও তার মা মমতাজ বেগম (সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী) ছিলেন শিয়া মতালম্বী ।

শাহ সুজার আমলেই ঢাকার বিখ্যাত হোসেনী দালান নির্মাণ কার হয় । শুধু তাই নয় আঠারো শতকের প্রথম ভাগে অধিকাংশ নবাবীই ছিলেন শিয়া সম্প্রদায় ভুক্ত । বাংলায় শিয়া আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ পায় মুর্শিদকুলি খানের আমলে । মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্র করে তিনি বাংলায় কার্যত একটি শিয়া রাজবংশ গড়ে তুলেন । যদিও এখনকার মুসলমানদের অধিকাংশই সুন্নি সম্প্রদায়ভুক্ত ।

সুজাউদ্দীন খান

নবাব সুজাউদ্দীন ছিলেন মুর্শিদকুলি খানের জামাতা । শায়েস্তা খান এর পর একমাত্র তার আমলেই বাংলায় ১ টাকায় ৮ মণ চাল পাওয়া যেত ।

আলীবর্দী খান

আলীবর্দী খানের প্রকৃত নাম মির্জা মোহাম্মদ আলী । ১৭৪০ সালে গিরিয়ার যুদ্ধে সরফরাজ খানকে পরাজিত করে বাংলার মসনদ অধিকার করেন আলীবর্দী খান । বর্গীরা বাংলায় ব্যাপক অত্যাচার করেছিল আলীবর্দী খানের সময়ে । বাংলায় মারাঠীদের দমনে সবচেয়ে বেশি অবদান আলীবর্দী খানের । আলীবর্দী খানের সময়ে বাংলার রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ ।

মীর কাশিম ও বক্সারের যুদ্ধ

পলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের পর বাংলার নবাব হন মীরজাফর । বক্সারের যুদ্ধ হয় ২২ অক্টোবর ১৭৬৪ । বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন হেক্টর মনরো । বক্সারের যুদ্ধে পরাজিত হন মীর কাসিম ।

স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত

পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হওয়ার পর ইংরেজদের গতি রোধ করার মতো শক্তি ও সাহস এদেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় । আর তখন থেকেই এদেশের ভাগ্যবিধাতা হয়ে যায় ইংরেজরা; নবাব থাকেন নামমাত্র ।

বক্সারের যুদ্ধে মীর কাসেমের পরাজয়ের পর বাংলা তথা উপমহাদেশে ইংরেজরা দেওয়ানি লাভ করে । মীর কাশিমের নবাবী লাভের আগেই রবার্ট ক্লাইভ ইংল্যান্ডে ফিরে যান । কিন্তু ইংল্যান্ড কর্তৃপক্ষ এদেশে কোম্পানির বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষার্থে তাকে লর্ড উপাধিতে ভূষিত করে দ্বিতীয়বার এদেশে প্রেরণ করে ।

রবার্ট ক্লাইভ মুঘল সম্রাট শাহ আলমের নিকট থেকে বছরে ২৬ লক্ষ টাকা কর প্রদানের বিনিময়ে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব লাভ করেন । এতে বাংলা তথা ভারতবর্ষে ইংরেজ ঔপনিবেশ এর পথ উন্মুক্ত হয়ে যায় । শুরু হয় ২০০ বছরের লুটপাট আর গোলামির ইতিহাস ।

বিগত বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন নবাব কে?

উত্তর: মুর্শিদকুলি খান ।

কোন মুঘল সুবেদার বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন?

উত্তর: মুর্শিদকুলি খান ।

প্রশ্ন: পলাশীর যুদ্ধ কবে সংঘটিত হয়েছিল?

উত্তর: ২৩ জুন ১৭৫৭ সালে ।

প্রশ্ন: বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা কোন যুদ্ধে পরাজিত হন?

উত্তর: পলাশীর যুদ্ধে ।

প্রশ্ন: নবাব সিরাজউদ্দৌলার পিতার নাম কি?

উত্তর: জয়েন উদ্দীন ।

প্রশ্ন: ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয় কোন নদীর তীরে?

উত্তর: ভাগীরথী নদীর তীরে ।

প্রশ্ন: নবাব মুর্শিদকুলি খানের বাংলায় শাসনকাল

উত্তর: ১৭১৭ থেকে ১৭২৭ সাল পর্যন্ত ।

প্রশ্ন: বাংলার রাজস্ব ব্যবস্থা পূর্ণ গঠন করেন কে?

উত্তর: মুর্শিদকুলি খান ।

প্রশ্ন: “লুন্ঠন প্রিয় বর্গী” বলা হয় কাদের?

উত্তর: মারাঠি সৈন্যদলকে ।

প্রশ্ন: বর্গী শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?

উত্তর: মহারাষ্ট্রীয় ।

প্রশ্ন: অন্ধকূপ হত্যা কাহিনী কার তৈরি?

উত্তর: হলওয়েল

প্রশ্ন: মুসলমান শাসনামলে এদেশে এসে অত্যাচার ও লুট করেছে কারা?

উত্তর: বর্গীরা ।

প্রশ্ন: বক্সারের যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়?

উত্তর: ১৭৬৪ সালে ।


এই রকম আরো আর্টিকেল পড়তে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।


অন্য পোস্টঃ টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

Previous Post Next Post