ব্রণ
দূর করার ফেসপ্যাক | ব্রণ দূর করার উপায় - ব্রণের সমস্যায় অনেকেই নাজেহাল । ব্রন
কমাতে কত কিছুই না ব্যবহার করেন । কিন্তু ব্রণ কমলেও অনেক সময় দাগ থেকে যায় ।
ব্রণমুক্ত সুস্থ ত্বক পেতে ফেসপ্যাক ব্যবহার জরুরী ।
অন্য পোস্টঃ কালোজিরা ও মধু খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা | কালোজিরা ও মধুর উপকারিতা
অন্য পোস্টঃ প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
মুখ থেকে ব্রণ দূর করতে, মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে । এর পাশাপাশি ফেসপ্যাক ব্যবহার করা প্রয়োজন । ব্রণ দূর করার উপায় হিসাবে যে ধরনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন তা জেনে নিন ।
ফেসপ্যাক তৈরীর উপকরণ
মুলতানি
মাটি, নিম, কমলার খোসার পাউডার, হলুদের গুঁড়া ও কওলিন মাটি । এই মিশ্রণ গুলো
সমপরিমাণ একত্রে নিয়ে ভালো ভাবে ফেটিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে হবে ।
মুলতানি মাটি
মুলতানি
মাটি পরিচিত উপাদান ত্বকের তৈলাক্ততা ও ব্রণ সমাধানের জন্য । এটা ত্বক থেকে
অতিরিক্ত সিরাম এবং তেল দূর করে । ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা ও ঘাম পরিষ্কার করে ।
ত্বকে পিগমেন্টেশন মুলতানি মাটির ব্যবহারকরলে তা দূর হয় । এই উপাদান সানট্যান,
ত্বকের র্যাশ, সংক্রমণ থাকলে তা আস্তে আস্তে ঠিক করে ত্বক সতেজ করে তোলে ।
নিম
নিম
ব্রণ কমায় এবং ব্রণ হতে বাধা দেয় । নিমে আছে জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান । ব্রণের
ফলে ত্বকে যে দাগ হয়, তা অনেকটাই কমিয়ে আনে নিম । নিম ব্যবহারে ত্বকের হাই
পিগমেন্টেশন আস্তে আস্তে হালকা হয়ে যায় ।
কমলার খোসার পাউডার
কমলার
খোসায় রয়েছে ভিটামিন-সি, যা ত্বকের কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ক্ষমতা বাড়ায় । ফলে
ত্বক ফর্সা হয় এবং ব্রণের দাগ আস্তে আস্তে হালকা হয়ে যায় । এটা স্কিন পোর ভেতর
থেকে পরিষ্কার করে । এর ফলে ব্ল্যাকহেডস ত্বক থেকে চলে যায় ।
হলুদের গুঁড়া
হলুদের
গুড়া তে রয়েছে Anti-oxidant এবং anti-inflammatory প্রপার্টি । যা ত্বকের ভেতর
থেকে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বক ফর্সা করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ।
কওলিন মাটি
কওলিন
মাটি সবথেকে মাইন্ড ক্লে, যা ত্বকের যত্নে নানাভাবেই ব্যবহার করা হয় । কওলিন মাটি
ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর করে এবং একই সঙ্গে ব্রন কমাতে খুবই কার্যকরী ।
অন্য পোস্টঃ
- ব্যালেন ডি অর ২০২২ | ব্যালন ডি অর তালিকা ২০২২
- সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন উত্তর – পর্ব – ২
- যোগ ব্যায়াম করার উপকারিতা | Benefits of Yoga Exercises
ফেসপ্যাক ব্যাবহারের নিয়ম
এক
টেবিল চামচ সব উপকরণ নিয়ে পানির সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন ।
এরপর মুখ ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে পেষ্টটি মুখে এবং গলায় লাগিয়ে
দিতে হবে ।
খেয়াল
রাখতে হবে চোখের চারপাশ এবং ঠোটে যেন না লাগে । মাস্কটি দিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা
করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল
পাওয়া যাবে ।
অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক
ত্বকের
সুরক্ষা ও ত্বকের নানান ধরণের সমস্যা সমাধানের অন্যতম কার্যকরী একটি উপাদান হচ্ছে অ্যালোভেরা
। অনেক প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় পাকাপোক্তভাবে স্থান করে নিয়েছে অ্যালোভেরা । ব্রণের
চিকিৎসায় অ্যালোভেরা অন্যতম সেরা উপাদান । এবার চলুন ব্রণ দূর করার উপায় হিসাবে অ্যালোভেরা
ফেসপ্যাক তৈরী ও ব্যাবহারের নিয়ম জেনে নিই ।
অ্যালোভেরা পাতা ব্যাবহারের আগে
রুপচর্চায় অ্যালোভেরা ব্যাবহার করার জন্য প্রথমে এর পাতা থেকে পানি বের করে নিলে ভালো হয় । তাজা ও স্বতেজ অ্যালোভেরা ব্যাবহার করলে এর ফল ভালো পাওয়া যায় । তবে পাতা যদি দুর্লভ হয় তাহলে এটা সংরক্ষণ করেও রাখতে পারেন ।
অ্যালোভেরা ব্যাবহারের নিয়ম
👉 প্রথমে
একটি অ্যালোভেরা পাতা গাছের গোড়া থেকে কেটে নিন । এবার পানি বের করার জন্য কাটা
অংশটি নিচের দিক উপুড় করে রেখে দিন ।
👉 এভাবে
রেখে দিলে একটি হলুদ রং এর পানি বা রস বের হবে । এই পানি বা রস পুরোপুরি বের না
হওয়া পর্যন্ত এভাবেই অ্যালোভেরা পাতাটি রেখে দিন ।
👉 হলুদ
রং এর পানি বা রস বের হয়ে গেলে পাতাটি ভালো ভাবে ধুয়ে নিন এবং পাতার দুই পাশের
কাঁটা ওয়ালা অংশ কেটে ফেলে দিন ।
👉 অ্যালোভেরা
পাতার দুই পাশের সবুজ অংশ চেঁছে ফেলুন এবং পাতার ভেতরের জেলির মতো অংশ ফেস প্যাকের
জন্য রেখে দিন ।
অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক ব্যাবহারের নিয়ম
আপনি
যদি আগে থেকেই ব্রণ দূর করার জন্য ফেসপ্যাক ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে ঐ প্যাকের
সাথেই অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিতে পারেন । এতে ভালো ফলাফল পাবেন ।
যদি ব্রণ
দূর করার জন্য অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক বানাতে চান তাহলে চন্দন গুড়া, মুলতানি মাটি,
গোলাপ পানি এবং অ্যালোভেরা জেল একত্রে ভালো ভাবে মিশিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করুন ।
এবার মুখে মেখে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন । এবার হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন ।
মুখ ধোঁয়ার পর যদি জ্বালাপোড়া করে তাহলে বরফ ব্যাবহার করতে পারেন । এতে আরাম পাবেন এবং ব্রণ থেকে মুক্তিও মিলবে । সপ্তাহে দুই বার ব্যাবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন ।
এই রকম আরো রুপচর্চা বিষয়ক লেখা পেতে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।
অন্য পোস্টঃ সজনে পাতার গুনাগুন | সজনে পাতার উপকারিতা