মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ | Medical Representative
Job - বাংলাদেশের ঔষধ কোম্পানি গুলো প্রসার দিন দিন বাড়ছে । এ শিল্পের অন্যতম চালিকা
শক্তি হল মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ (MR) বা মেডিকেল প্রমোশন অফিসার (MPO) । মেডিকেল
রিপ্রেজেন্টেটিভ বর্তমানে দেশের চ্যালেঞ্জিং পেশার মধ্যে এটি অন্যতম ।
মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ (Medical Representative
Job) এর চাকরি করতে চান তাহলে আপনাকে এই বিষয়ে কিছু জানতে ও বুঝতে হবে । তাই মেডিকেল
রিপ্রেজেন্টেটিভ সম্পর্কে আপনাদের কিছু জানানোর উদ্দেশ্যে নিচে কয়েকটি বিষয় আলোচনা
করলাম । আশা এই বিষয়গুলো জানলে আপনারা উপকৃত হবেন ।
অন্য পোস্টঃ ফুটবলের রাজা পেলে | পেলের জীবনী
অন্য পোস্টঃ মুনীর চৌধুরীর কবর নাটক | মুনীর চৌধুরীর 'কবর'
পেশা হিসাবে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ
শিক্ষাগত যোগ্যতা
মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ এর চাকরি প্রথম দিকে শুধু বিজ্ঞান বিভাগের গ্রাজুয়েটরাই এ চাকরিতে আবেদন করতে পারতেন । তবে এখন অন্যান্য ডিসিপ্লিন বা বিভাগ থেকে আসা ব্যাচেলর মাস্টার্স ডিগ্রিধারীদের এ পেশায় কাজ করার সুযোগ থাকলেও এসএসসি বা এইচএসসি লেভেল পর্যন্ত বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী হওয়া জরুরী ।
নিয়োগ প্রক্রিয়া
এ পদে সাধারণত মৌখিক পরীক্ষা আবার
কোন কোন ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে নির্বাচন করা হয় । যারা
প্রাথমিক পরীক্ষায় নির্বাচিত হন তাদের নিয়েই শুরু হয় ট্রেনিং । ট্রেনিংয়ে এ পেশার
উপর যাবতীয় শিক্ষা দেওয়া হয় । ট্রেনিং ধাপটি যারা সুন্দর ভাবে শেষ করতে পারেন তাদের
দেওয়া হয় স্থায়ী নিয়োগ । নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো সংবাদপত্র বা অনলাইন জব পোর্টাল
গুলোয় প্রকাশ করা হয় ।
কার্যাবলী
মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কাজের ধারা ২
টি --- ট্রেড ওয়ার্কিং ও ইনস্টিটিউশনাল ওয়ার্কিং । ডাক্তারদের সাথে নিয়মিত সাক্ষাৎ
করা এবং রিটেইলার, স্টকিস্ট, ডিস্ট্রিবিউটরদের সাথে যোগাযোগ করাকে ট্রেড ওয়ার্কিং
আর কোনো হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ডাক্তারদেরকে কোম্পানির নানা ব্র্যান্ড সম্পর্কে অবহিত
করাকে ইনস্টিটিউশনাল ওয়ার্কিং বলে ।
পেশা হিসাবে
নিজেকে প্রমাণের জন্য খুবই উপযুক্ত স্থান
। এখানে নিজের যোগ্যতা দিয়েই উন্নতি করতে হয় । কঠোর পরিশ্রম ও বুদ্ধি থাকলে এ পেশায়
পেছনে পড়ে থাকার কোন সুযোগ নেই । আপনার কাজই আপনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে । অল্প
সময়ে আপনি নিজের ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন ।
সুবিধাদি
মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে যোগদানের
মাধ্যমে একজন শিক্ষিত যুবক-যুবতী দ্রুত উন্নতি করতে পারেন । পেশাগত দক্ষতা ও প্রয়োজনীয়
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দ্রুত বৃদ্ধি করা সম্ভব । বিক্রয় প্রতিনিধিদের
বেশিরভাগ কোম্পানির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা দেয় । এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে রয়েছে
নানা রকম ইন্সেন্টিভ বা উৎসাহ ভাতা ।
সফলতার কৌশল
মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ (Medical Representative
Job) একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা । আপনি যদি নির্ধারণ
করে থাকেন যে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ এর কাজকেই পেশা হিসাবে বেছে নিবেন তাহলে আপনাকে
কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে । সফল হওয়ার জন্য কৌশল গ্রহন করতে হবে । সফলতার কৌশল গ্রহন
করলে আপনি অন্যদের থেকে খুব দ্রুত উন্নতীর শীর্ষে পৌছুতে সক্ষম হবেন । আপনাদের সুবিধার্তে
এখানে সফলতার কৌশল দেওয়া হলো ---
অন্য পোস্টঃ
- রুই মাছের উপকারিতা | রুই মাছ
- ২০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ২০২৩ | ২০ হাজার টাকার মোবাইল
- হযরত ওমর রাঃ এর শাহাদাত | হযরত ওমর রাঃ
আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য
মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের ধৈর্যের
ঘাটতি হলে উন্নতি অসম্ভব । ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস ও সাংগঠনিক দক্ষতা ভালো হলে এ কাজে দ্রুতই
এগিয়ে যাওয়া যায় । তবে এ পেশায় প্রচুর মানসিক চাপ সামলাতে হয় । তাই ধৈর্যের সাথে
পরিস্থিতি সামলানোর সামর্থ্য থাকা অতি গুরুত্বপূর্ণ ।
সংস্থার বিপণন কৌশল
এ পেশায় সংস্থার বিপণন কৌশল অনুযায়ী
গ্রাহকের তালিকা প্রস্তুত করা, প্রতিটি পণ্যের জন্য আলাদা কৌশল অবলম্বন করা এবং চিকিৎসকের
নমুনা ও উপহার প্রচারমূলক ইমপোর্ট ব্যবহার করে প্রতিটি পণ্য সম্পর্কে ভালো বিবরণ দিতে
হবে ।
পণ্য সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান
এ পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা
শুধু ঔষধ সম্পর্কে চিকিৎসকদের অবগত করে থাকেন । নিজেদের প্রতিষ্ঠান কি ঔষধ তৈরি করছে,
কেন ও কিভাবে সেই ঔষধ গুলো কাজ করবে, আগের ঔষধ এর সঙ্গে নতুন ঔষধ এর পার্থক্য কি প্রভৃতি
তথ্য জানান তাদের কাজ । এজন্যই একজন MRকে পণ্য সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হবে ।
স্বপ্ন এবং লক্ষ্য নির্ধারণ
প্রতিটি পেশাই সম্মানের
। তাই আপনাকে এখান থেকে ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখে কোম্পানির শীর্ষ পর্যায়ে যাওয়ার
লক্ষ্য স্থির করতে হবে । এ পেশায় সফলতা পেতে হলে স্বপ্ন এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
। সুদুরপ্রসারী মনোভাব ও চিন্তা ছাড়া শুধু এ পেশাই নয় কোনো পেশায় ভালো করা যায়
না ।
অগ্রগতি মূল্যায়ন ও দায়িত্ব গ্রহণ
মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের
টার্গেটকে মার্কেটিং প্রতিযোগিতায় অংশ হিসেবে দেখতে হয় । প্রতিমাসের বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রাকে
পূরণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ও এর অগ্রগতি মূল্যায়ন করা সর্বোপরি প্রতিমাসে
নতুন করে দায়িত্ব গ্রহণের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে ।
কাজের গুরুত্বের ক্রম তৈরি করা
আপনার প্রতিদিনের কাজ
ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য কাজগুলো গুরুত্ব অনুসারে লিখুন । সবচেয়ে দরকারি
কাজটি আগে লিখুন । এটি করতে ১০ মিনিট সময় ব্যয় হবে কিন্তু এ কাজটি নিয়মিত করলে আপনি
প্রত্যাশিত অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন । ফলে আপনার সেলস পারফরম্যান্স
হবে দিনে দিনে দুর্দান্ত ।
সুসম্পর্ক তৈরি করা
আপনি যতই দক্ষ হন না কেন, আপনি যদি ক্রেতা, ডাক্তার ও কেমিস্টদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে না পারেন তাহলে এ পেশায় ভালো করা যাবে না ।
এই রকম আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।
অন্য পোস্টঃ স্যামসাং মোবাইল নতুন মডেল | নতুন স্যামসাং মোবাইল