ফেসিয়াল করার উপকারিতা ও পদ্ধতি | Facial benefits and procedures

ফেসিয়াল করার উপকারিতা ও পদ্ধতি - ফেসিয়াল এর অর্থ হল মুখের মালিশ বা ম্যাসাজ । ফেসিয়াল করলে মুখের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং ত্বক খুব সুন্দর হয়ে ওঠে । নিয়মিত ফেসিয়াল করলে চট করে মুখে ভাঁজ পড়ে না ।

বিশেষ করে ৪০ বছর বয়সের পর মেয়েদের ফেসিয়াল করা বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে । কারণ এরপর থেকে মুখের ত্বক শিথিল হয়ে পড়তে বা ভাজ পড়তে শুরু করে । নিয়মিত ফেসিয়াল করলে ত্বকের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় । আজকের ব্লগ পোস্টে ফেসিয়াল করার উপকারিতা ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ।

আরও পড়ুনঃ ব্রণ দূর করার ফেসপ্যাক | ব্রণ দূর করার উপায়

ফেসিয়াল করার উপকারিতা ও পদ্ধতি

অন্য পোস্টঃ ঘুম নিয়ে কিছু কথা | ঘুম বিষয়ক কিছু উপকারী তথ্য

ফেসিয়াল করার উপকারিতা

খুব খারাপ ত্বকও নিয়মিত ২-৩ বছর ফেসিয়াল করলে সুন্দর হয়ে যায় । সুন্দর হয়ে কেউ জন্ম গ্রহণ করে না । নিজেকে সুন্দর করে রাখার মধ্যেই সৌন্দর্য প্রকাশ পায় । মুখের যত্নের মধ্যে একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফেসিয়াল । নিচে ফেসিয়ালের কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হলো ---

👉 ত্বকের সম্প্রসারণ ও সংকোচন রক্ষা করে ।

👉 ত্বকের স্বাভাবিক রংকে আরও উজ্জ্বল করে ।

👉 মুখের মাংসপেশি সবল করে ।

👉 মাংসপেশিতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ।

👉 গভীরভাবে ত্বককে পরিষ্কার করে ।

👉 মুখে যাতে বলিরেখা না পড়ে তার ব্যবস্থা করে ।

👉 মুখের ত্বককে বাড়তি পুষ্টি জোগায় ।

👉 রোদে পোড়া ভাব ও দাগ তুলতে সাহায্য করে ।

ফেসিয়াল করার বয়স ও সময়

২৫ বছর বয়স থেকে ফেসিয়াল করা যায় । এর আগে মুখে কোন ধরনের ম্যাসাজ করা ঠিক নয় । সাধারণত এই বয়সে ত্বকে কোন সমস্যা থাকলে তা বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে দূর করা যায় বা সম্ভব । মাসে ২ বার ফেসিয়াল করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় ।

ফেসিয়াল এর উপকরণ

তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য

গাজর বাটা ৩ চা চামচ, বেসন ৩ চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, গোলাপজল প্রয়োজনমতো । সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে । চোখের চারদিকে কিছুটা অংশ বাদ দিয়ে সমস্ত মুখমন্ডলে পেস্ট মাখতে হবে । ৩০ মিনিট পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে ।

স্বাভাবিক ও শুষ্ক ত্বকের জন্য

মসুরের ডাল বাটা ৩ চা চামচ, মধু ১ চা চামচ, দুধ ১ চা চামচ, একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে । এই পেস্ট চোখের চারপাশের কিছু অংশ বাদ দিয়ে সারা মুখে লাগাতে হবে । ৩০ মিনিট পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে ।

অন্য পোস্টঃ 

ফেসিয়াল করার পদ্ধতি

👉 প্রথমে হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন । চুল ভালো করে বেঁধে নিন যাতে ফেসিয়াল করার সময় মুখের ওপর এসে না পড়ে ।

👉 বুকের ওপর একটা গামছা তোয়ালে জড়িয়ে নিন । প্রথমে ঘাড় থেকে মালিশ বা ম্যাসাজ আরম্ভ করবেন ।

👉 তারপর পর্যায়ক্রমে থুতনি, ঠোঁট, কান, চোখ, কপাল এবং শেষে ভ্রু মালিশ করবেন ।

👉 ত্বকে বেশি চাপ না দিয়ে ধীরে ধীরে মালিশ করতে হবে ।

👉 নিয়মিত ফেসিয়াল করলে মুখের ত্বকে যেমন বলিরেখা পড়ে না তেমনি ত্বক হয় লাবন্য দীপ্ত ও আকর্ষনিয় ।

** বিঃদ্রঃ একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে কোনো প্রকার কেমিকেল দ্রব্য দিয়ে ফেসিয়াল না করাটাই ভালো । কারন এতে হিতে বিপরীত হতে পারে । যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ফেসিয়াল করা সব থেকে শ্রেয় ।

ফেসিয়াল করার পর কি করা উচিত

ফেসিয়াল করার পরও ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরী । ফেসিয়াল করার পর কি করা উচিত বা কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবেন সেই বিষয়ে আলোচনা করা হলো ----

১। যে দিন ফেসিয়াল করবেন তার পরের দুই দিন কোনো প্রকার ফেস ওয়াশ বা সাবান ব্যাবহার করবেন না । এই দুই দিন স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ ধোঁবেন ।

২। ফেসিয়াল করানোর পর যেহেতু স্টিম দেওয়া হয় সেহেতু এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়তি স্টিম নিতে যাবেন না ।

৩। মুখ সাধারণ পানি দিয়ে ধোঁয়ার পর আপনি যে ক্লিনজিং,টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং ব্যাবহার করেন সেটা বন্ধ করবেন না । যে উপকারের জন্য ফেসিয়াল করেছেন সেই উপকার দীর্ঘস্থায়ী পেতে হলে ক্লিনজিং,টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং ব্যাবহার করবেন আপনার রুটিন মাফিক ।

৪। ফেসিয়াল করার পর রোদে বের হবেন না । যদি বের হতে হয় তাহলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন অন্তত দুই দিন ।

৫। ফেসিয়াল করার পর ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করলে ভালো হয় । আপনার ত্বকের জন্য কোন ধরনের ময়শ্চারাইজার ভালো হবে তা বিশেষজ্ঞের থেকে জেনে নিতে ভুলবেন না ।


এই রকম আরো রুপচর্চা বিষয়ক লেখা পেতে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।


আরও পড়তে পারেনঃ  সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত হাঁটুন | হাঁটার উপকারিতা সমূহ

Previous Post Next Post