জাতীয় পরিচয় পত্র কি | NID BD Details - জাতীয় পরিচয়
পত্র (NID Card – National Identity Card যা এনআইডি কার্ড বা আইডি কার্ড নামে বহুল
পরিচিত) । এনআইডি কার্ড হলো বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বা বাধ্যতা মূলক
নথি, যা এদেশের নাগরিকদের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের অধীনে তালিকাভুক্ত
হতে হয় । এ সকল তথ্য কালিকাভুক্ত করণ ও NID Card সরবরাহ করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
।
আরও পড়ুনঃ খতিয়ান কি কত প্রকার ও কি কি - বিস্তারিত
আজকের ব্লগ পোস্টে জাতীয় পরিচয় পত্র কি, এন আই ডি কার্ডের
ইতিহাস, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, এন আই ডি কার্ডের সুবিধা, নতুন এনআইডি কার্ড করতে
যা প্রয়োজন, এন আই ডি কার্ড, নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম, এনআইডি কার্ড ডাউনলোড,
জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর নিয়ে আলোচনা করবো । তাহলে চলুন শুরু করা যাক ---
আরও পড়ুনঃ NID স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় | ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় কি
আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশন হেল্পলাইন নাম্বার | Election Commission Helpline Number
এনআইডি কার্ডের ইতিহাস | History of NID Card
বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক আইডেনটিফিকেশন ২০০৮ সাল থেকে বিদ্যমান । বাংলাদেশের নাগরিক যাদের ১৮ বছর বা তার থেকে বেশি তাদের সকলের তথ্য কেন্দ্রীয় বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডারের সাথে সম্পৃক্ত । এই তথ্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় । বাংলাদেশের নাগরিকদের ২০১৬ সালের পূর্বে সাধারন Identity Card দেওয়া হতো । সেই কার্ডে NID Card ধারী ব্যক্তির নাম, পিতা এবং মাতার নাম, ন্যাশনাল আইডি নাম্বার, ছবি এবং স্বাক্ষর প্রদর্শিত ছিলো ।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র | Smart National Identity Card
২০১৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের
এনআইডি কতৃপক্ষ Smart National ID Card উপস্থাপন করে । Smart Card-এ একটি
Integrated Circuit Card (ICC) যুক্ত করা আছে যেটা Chip card নামে পরিচিত । Smart
Card-এর এই Chip card মেশিনের সাহায্যে রিড বা পড়া যাবে । এই Chip card-এ এদেশের নাগরিকদের
সকল প্রকার তথ্য সংরক্ষিত আছে ।
এই Smart Card-এর ডিজাইনে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকগুলো
দিয়ে সাজানো হয়েছে । এই প্রতীকগুলোর মধ্যে রয়েছে স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধ, শাপলা ফুল,
দোয়েল পাখি, চা বাগান ইত্যাদি ।
পূর্বের এনআইডি কার্ড |
এনআইডি কার্ডের সুবিধা | Benefits of NID Card
NID Card বা Smart NID Card –এর অধিকারীরা যে সকল সুযোগ-সুবিধা
পাবেন অথবা যে সকল কাজে NID Card লাগে তা নিম্নরুপ -----
নাগরিক অধিকার ও সুবিধা সমূহ
👉 জাতীয় পরিচয়
👉 ড্রাইভিং লাইসেন্স
👉 মটর যান রেজিস্ট্রেশন
👉 পাসপোর্ট
👉 জমি ক্রয় ও বিক্রয়
👉 ব্যাংক হিসাব খুলতে
👉 ব্যাংক ঋণ নিতে
👉 টিন নাম্বার
👉 মোবাইল সিম পেতে
👉 সরকারি অনুদান ও ভাতা পেতে
👉 চাকরির আবেদন করতে
নতুন এনআইডি কার্ড করতে যা প্রয়োজন | New NID Card
যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হয়েছে তারা যদি এনআইডি
কার্ড করতে যান, তাদের কি কি দরকার পড়বে তা নিম্নে দেওয়া হলো ------
👉 এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট ফটোকপি
👉 জন্ম নিবন্ধ সনদের ফটোকপি
👉 পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা টিন সার্টিফিকেট
👉 ইউটিলিটি বিলের কপি
👉 নাগরিকত্ব সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
👉 পিতা, মাতা স্বামী /স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র |
এনআইডি কার্ড বাংলাদেশ | NID BD
এনআইডি কার্ড হলো বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য অত্যাবশ্যকীয়
বা বাধ্যতা মূলক নথি, যা এদেশের নাগরিকদের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের
অধীনে তালিকাভুক্ত হতে হয় । এসকল তথ্য কালিকাভুক্ত করণ ও NID Card সরবরাহ করে বাংলাদেশ
নির্বাচন কমিশন ।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম | New Voter ID Card Rules
২০২৩ সালে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার থেকে বেশি হয়েছে
কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড করেননি । তারা ২০২৩ সালে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন
করবেন ঘরে বসেই সেটা আজকের আলোচনায় আপনাদের জানাবো ।
ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ড এর
আবেদন করার জন্য উল্লেখিত সাইটে গিয়ে আপনাকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে । তারপর
সেখানকার নির্দেশনা অনুযায়ী আপনি আপনার সমস্ত তথ্য দিন এবং তার পরের কার্যক্রম অনুসরণ
করুন । বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এই লিঙ্কে :
https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিঙ্কে প্রবেশ করলে আপনি যাবতীয় নির্দেশনা
পেয়ে যাবেন ।
এনআইডি কার্ড ডাউনলোড | NID Card Download
আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে মোবাইলের মাধ্যমে
আপনি আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন । এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হলে নিম্নের পদ্ধতিগুলো
অনুসরণ করুন –
স্টেপ-১: প্রথমে আপনার মোবাইলের যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন
করে বাংলাদেশ গভমেন্টের NID BD এই সাইটে প্রবেশ করতে হবে ।
স্টেপ-২: এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য উক্ত ওয়েবসাইটের
“অ্যাকাউন্ট নেই” অংশের “রেজিস্টার করুন” এই অপশনে ক্লিক করবেন ।
স্টেপ-৩: এরপরের ইন্টারফেসে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার
দিয়ে বাকি সবগুলো ঘর পূরণ করবেন এবং সাবমিট করে দিবেন ।
স্টেপ-৪: এরপরের ইন্টারফেসে আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা
পুরণ করে সাবমিট করুন ।
স্টেপ-৫: এরপরে যে ইন্টারফেস আসবে সেখানে “বার্তা পাঠান” নামক
একটি অংশ থাকবে । আপনার যদি এনআইডি কার্ড করার সময় কোন মোবাইল নাম্বার দেয়া থাকে
তাহলে সেই মোবাইল নাম্বারে একটি ছয় সংখ্যার ওটিপি কোড যাবে । ওটিপি কোড বসিয়ে “বহাল”
অপশনে ক্লিক করুন । আর যদি মোবাইল নাম্বার না দেওয়া থাকে তাহলে মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন
অপশন এ ক্লিক করে আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে দিতে পারেন ।
স্টেপ-৬: বহাল অপশনে ক্লিক করলে আপনার মোবাইলে “NID
WALLATE” অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করতে বলবে ।
স্টেপ-৭: আপনার মোবাইলে যদি NID WALLATE অ্যাপস টি ইনস্টল
করা না থাকে তাহলে গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন ।
এই অ্যাপস ইনস্টল না করলে আপনি এনআইডি কার্ড ডাউনলোড
করতে পারবেন না । কারণ এই অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনার ফেস স্ক্যান করতে হবে এবং তার পরবর্তী
সময়ে আপনি আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন ।
স্টেপ-৮: NID WALLATE অ্যাপস ডাউনলোড করার পর NID BD ওয়েবসাইটের
“Tap to Open NID Wallate”-এ ক্লিক করুন । এখানে ক্লিক করার সাথে সাথে যে অ্যাপসটি
ইন্সটল করেছেন সেখানে সরাসরি নিয়ে যাবে ।
স্টেপ-৯: এই অ্যাপসে আসার পর আপনার ফেস স্ক্যান করতে বলবে
। এখানে আপনি “Don’t Show This Again”-এ টিক মার্ক দিয়ে “Start Face Scan”-এ ক্লিক
করুন ।
স্টেপ-১০: এবার ডানে-বায়ে-সামনাসামনি তাকালে তিনটি অপশনে
সবুজ টিক মার্ক আসবে ।
স্টেপ-১১: এরপরে যে ইন্টারফেস আসবে আপনার আইডি কার্ডের নাম
এবং ছবি চলে আসবে ।
স্টেপ-১২: এরপর সেট পাসওয়ার্ড এ ক্লিক করে পাসওয়ার্ড সেট
করে নিন ।
স্টেপ-১৩: এরপরের ইন্টারফেসে নিচের দিকে ডাউনলোড অপশনটি থাকবে
। সেখানে ক্লিক করলে আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড হয়ে যাবে ।
উপরোক্ত আলোচনার পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে আপনি আপনার
এনআইডি কার্ড খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন । আশা করি পদ্ধতিটা বুঝতে পেরেছেন
।
জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর |
জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর | National Identity Card Number
জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID Card – National
Identity Card হলো বাংলাদেশের নাগরিকদের একটি identity যা ব্যাক্তিগত পরিচয় প্রমানপত্র
বা নথি । প্রতিটি NID Card এর একটি নম্বর থাকে যা দিয়ে এদেশের নাগরিকদের ব্যাক্তিগত
পরিচয় প্রমানপত্র বা নথি সংরক্ষিত হয়ে থাকে । এই নথি বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন কতৃক
সংরক্ষিত হয় ।
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর কি
এবং কোথায় থাকে? জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর NID Card-এর প্রথম পেজের নিচে লেখা থাকে
। আপনি যদি বুঝতে না পারেন তাহলে ছবি দেখুন তাহলে স্পষ্ট বুঝতে পারবেন ।
NID BD FAQ
জাতীয় পরিচয় পত্র কি?
জাতীয় পরিচয় পত্র (NID Card – National
Identity Card যা এনআইডি কার্ড বা আইডি কার্ড নামে বহুল পরিচিত) । এনআইডি কার্ড হলো
বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বা বাধ্যতা মূলক নথি, যা এদেশের নাগরিকদের
১৮ বছর পূর্ণ হলে আবেদন করতে হয় ।
জাতীয় পরিচয় পত্র কত বছর বয়সে করতে হয়?
এনআইডি কার্ড বাংলাদেশের নাগরিকদের ১৮ বছর পূর্ণ
হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের অধীনে তালিকাভুক্ত হতে আবেদন করতে পারবে । এ সকল তথ্য কালিকা
ভুক্ত করণ ও NID Card সরবরাহ করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ।
জাতীয় পরিচয় পত্র করতে কি কি প্রয়োজন?
এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট ফটোকপি, জন্ম নিবন্ধ সনদের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা টিন সার্টিফিকেট, ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিকত্ব সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), পিতা, মাতা স্বামী /স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন ।
এই রকম আরো পোস্ট পেতে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।
আরও পড়ুনঃ টেলিটক এমবি চেক কোড 2023 | টেলিটক এমবি চেক করার কোড