বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম ২০২৩ | How to Close
a bKash Account - সিম হারিয়ে গেলে কিংবা সিম নষ্ট হয়ে গেলে কিংবা এমন যদি হয় যে
সিম টি আর তোলা যাবে না বা রিপ্লেসমেন্ট জনিত সমস্যা, আরও অন্য কোনো কারনে বিকাশ অ্যাকাউন্টটি
বন্ধ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে । অথবা আপনি চাচ্ছেন নতুন আরেকটি নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট
নতুন করে খুলতে । এক্ষেত্রে পুরাতন বিকাশ একাউন্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার দরকার হয়ে
পড়ে ।
আরও পড়ুনঃ বাটন ফোনে উপায় একাউন্ট খোলার নিয়ম | How to Create Upay Account
আরও পড়ুনঃ বিকাশ ইসলামিক সেভিংস একাউন্ট | bKash Islamic Savings Account
বন্ধুরা, আজকের ব্লগ পোস্টে আলোচনা করবো “বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম ২০২৩” সম্পর্কে । আপনারা অনেকেই বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান । আজকের আলোচনায় বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করবো । তাহলে চলুন শুরু করা যাক ।
অনেক সময় সিম বন্ধ বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কিংবা
মোবাইল হ্যান্ডসেট চুরি বা হারিয়ে গেলে আমাদের বিকাশ নাম্বারটি তাৎক্ষনিক ভাবে বা
স্থায়ী ভাবে বন্ধ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে । সেক্ষেত্রে বিকাশ নাম্বার বন্ধ করার দুটি
পদ্ধতি রয়েছে । যেমন ------
১। অস্থায়ীভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা
২। স্থায়ীভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা
অস্থায়ীভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা
যদি আপনার মোবাইল হ্যান্ডসেট অন্য কোনো লোকের হাতে পড়ে
বা চুরি বা হারিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ততক্ষনাৎ একাউন্টটি বন্ধ করার দরকার হয় । সে জন্য
অস্থায়ীভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য বিকাশ কাস্টমার কেয়ার 16247-এ কল করার
মাধ্যমে অথবা বিকাশের ওয়েবসাইটে লাইভ চ্যাট করার মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট অস্থায়ীভাবে
বন্ধ বা ব্লক করে দিতে পারবেন খুব সহজে ।
স্থায়ীভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা
আপনি যদি নতুন করে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান সেক্ষেত্রে
পুরাতন একাউন্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে । স্থায়ীভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে
হলে কি কি করতে হবে তা নিম্নে আলোচনা করা হল ------
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
বিকাশ একাউন্ট স্থায়ী ভাবে বন্ধ করতে হলে প্রথমে আপনার
বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স একেবারে শূন্য “০” করতে হবে ।
যে আইডি কার্ড দিয়ে আপনার বিকাশ একাউন্টটি ওপেন করা
হয়েছিল সেটি নিয়ে বিকাশের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে । বিকাশের কাস্টমার
কেয়ার থেকেই আপনার একাউন্ট স্থায়ী ভাবে বন্ধ করা যাবে ।
বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য কোন প্রকার চার্জ প্রদান
করতে হবে না ।
স্থায়ী ভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার প্রথম শর্ত হলো
বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স একেবারে শুণ্য অর্থাৎ ০০ করা । আমরা যখন ক্যাশ আউট করি বা
মোবাইল রিচার্জ করি সে ক্ষেত্রে কিছু খুচরা অ্যামাউন্ট থেকে যায় । যেমন 0.20,
0.30, 0.45 ইত্যাদি । এক্ষেত্রে কিভাবে একাউন্ট “০” করা কি সম্ভব?
হ্যাঁ সম্ভব । আপনাদের বলে দেই আপনারা এক্ষেত্রে সেন্ড
মানি করবেন । খুচরা অ্যামাউন্ট সহ সেন্ড মানি করা যায় । ধরুন আপনার একাউন্টে ৫০.৪০
টাকা আছে । এক্ষেত্রে আপনি কারোর বিকাশ একাউন্টে সেন্ড মানি করবেন ৪৫.৪০ টাকা এবং ৫
টাকা সেন্ড মানি চার্জ । মোট ৫০.৪০ টাকা । এভাবে খুচরা পয়সা বা একাউন্ট “০” সমস্যা
সমাধান করা সম্ভব ।
এরপর কাস্টমার কেয়ারে গেলে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রদান করার পর আপনার বিকাশ একাউন্টটি স্থায়ীভাবে করে বন্ধ করে দিতে পারবেন ।
এরপর আপনি চাইলে আপনার ব্যবহৃত আইডি কার্ড দিয়ে আবার
নতুন নাম্বারে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারবেন ।
ঘরে বসে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
আপনার যে ফোনে বিকাশ একাউন্ট খোলা আছে সেটি যদি হারিয়ে
যায় বা চুরি হয়ে যায় তাহলে যে কোনো মোবাইল দিয়ে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার 16247-এ ফোন করে
আপনার একাউন্ট নাম্বারটি বললে অস্থায়ীভাবে বন্ধ করতে পারবেন ঘরে বসেই । আর যদি পার্মানেন্টলি
বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে চান তাহেল আপনার এলাকার বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে ।
বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন
যদি কেউ বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করতে চায় তাহলে তার
পুরাতন একাউন্ট নাম্বারটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে তারপর নতুন করে, নতুন নাম্বারে একাউন্ট
খুলতে পারবে । বিকাশ নাম্বার পরিবর্তনের জন্য এছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই । পুরাতন বিকাশ
নাম্বার বন্ধ করে পুরাতন আইডি দিয়ে নতুন নাম্বারে একাউন্ট করতে পারবেন ।
একটা আইডি দিয়ে কয়টি বিকাশ খোলা যায়
আপনি যে আইডি দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন সেটি দিয়ে
একটি মাত্র একাউন্ট করতে পারবেন । অর্থাৎ একটি আইডি দিয়ে এবং একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে
একটি একাউন্ট ওপেন করা যায় ।
যদি আপনি নতুন একাউন্ট করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার এলাকার
যে কোনো বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে যেতে পারেন । তাছাড়া আপনার যদি স্মার্টফোন থেকে থাকে
তাহলে ঘরে বসেই আপনি নিজে নিজেই বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারেন ।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছরের কোনো নাগরিক কোনো
ধরণের ন্যাশনাল আইডি কার্ড পাবেন না । কোনো ধরণের ন্যাশনাল আইডি কার্ড পেতে হলে অবশ্যই
আপনার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে । আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় তাহলে বিকাশ
অ্যাপ দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন না ।
১৮ বছরের কম বয়সিরা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে একাউন্ট খুলতে চাইলে যেতে হবে বিকাশ এজেন্ট বা স্থানীয় বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে । বিকাশ এজেন্ট বা বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে আপনার দুইকপি ছবি, জন্ম নিবন্ধন নিয়ে যেতে হবে । তারাই আপনাকে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে একাউন্ট খুলতে সাহায্য করবে ।
এই রকম আরো পোস্ট পেতে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।