গ্রিন
টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা | গ্রিন টি বিস্তারিত - পানীয় হিসেবে গ্রিন টি খুব
জনপ্রিয় । এর রয়েছে নানা ধরনের উপকারিতা । রূপচর্চাতেও দারুন কাজ করে গ্রিন টি ।
নানারকম এনজাইম, ভিটামিন, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ
গ্রিনটি ত্বক- চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে । নিম্নে স্বাস্থ্য সুরক্ষা-ত্বকের সজীবতায়
গ্রিন টি-এর নানা রকম ব্যবহার উল্লেখযোগ্য ।
আমরা
সকলেই কম-বেশি গ্রিন টি সম্পর্কে জানি । ডায়েট কট্রোলে এবং স্বাস্থ্য সচেনতায় বর্তমানে
বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা নিয়মিত গ্রিন টি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন । বিশেষজ্ঞ
ডাক্তাররা গ্রিন টি-কে HealthTherapy-এর উত্তম পানীয় হিসাবে বলে থাকেন ।
আরও পড়ুনঃ কাজু বাদামের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
আরও পড়ুনঃ কালোজিরা ও মধু খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা | কালোজিরা ও মধুর উপকারিতা
আজকের ব্লগ পোস্টে গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গ্রিন টি বিস্তারিত নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো । চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্রিন টি এর বিস্তারিত বিষয় ।
আসল গ্রিন টি চেনার উপায়
বর্তমান
মার্কেটে নকল গ্রিন টি তে ছেয়ে আছে । এর মধ্য থেকে আসল গ্রিন টি চেনা অনেক মুশকিল
। আসল গ্রিন টি চেনার বেশ কিছু উপায় আছে যা আপনার জানা থাকলে আপনি খুব সহজে গ্রিন
টি চিনতে পারবেন ।
আসল
গ্রিন টি চেনার উপায় গুলো নিম্নরুপ ---
হালকা সবুজ রঙের হবে আসল গ্রিন টি, বাজারে যে গ্রিন টি ব্যাগ আছে এগুলো না ব্যবহার করাটাই ভালো, গ্রিন টি এর পাতার আকার একটু বড় হবে, গ্রিন টি চাষ হয় সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে ।
তাই এ সময় সংগ্রহ করলে ভালো এবং আসল গ্রিন টি পেতে পারেন,
গ্রিন টি সাধারনত ছয় মাসের বেশি ভালো থাকে না, আসল গ্রিন টি চিনতে প্যাকেটে
এপিগ্যালোক্যাটেচিন (ইজিসিজি) আছে কি না দেখে কিনুন, সাধারন চায়ের থেকে গ্রিন টি
এর গন্ধ হালকা হয়, সতেজ গ্রিন টি দেখতে কিছু টা কচি ঘাসের মতো ।
আদা দিয়ে গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা
গ্রিন
টিতে আদা মিশিয়ে পান করলে মানব শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । আদা দিয়ে
গ্রিন টি খেলে দেহের ক্লান্তি দুর করে । আদা দিয়ে গ্রিন টি খেলে ওজন কমাতেও
সাহায্য করে । আদা মিশ্রিত গ্রিন টি ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস,
পিরিয়ডের সময় বেশ ভালো এবং গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে ।
গ্রিন টি এর উপাদান
গ্রিন-টি
তে মূলত রয়েছে ক্যাফেইন, থিয়োফাইলিন, থিয়ানিন, ক্যাটেকিন, থিয়ারুবিজিন, ইসেনসিয়াল
অয়েল এবং ফেনল জাতীয় যৌগ । এছাড়াও গ্রিন টিতে রয়েছে দ্রবণীয় উপাদান যেমন-অ্যামাইনো
অ্যাসিড, ফ্লুরাইড, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ন্যাচারাল সুগার, পেকটিন, স্যাপোনিন
এবং ভিটামিন সি । অন্যদিকে গ্রিন টিতে অদ্রবণীয় উপাদানগুলোর মধ্যে
রয়েছে-ক্লোরোফিল, ক্যারোটিন, সেলুলোজ এবং ভিটামিন-ই ।
গ্রিন টি কোথায় পাওয়া যায়?
গ্রিন
টি সাধারণত চা পাতা বিক্রয় করে এমন দোকানে পাবেন । এছাড়া ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরগুলো
খুব সহজেই পেয়ে যাবেন উন্নত মানের গ্রিন টি । বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমেও খুব
সহজেই গ্রিন টি পেয়ে যাবেন ।
গ্রিন টি এর দাম
গ্রিন
টি ৪০টি প্যাকেটের বক্সের দাম ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে পাবেন । এছাড়াও
বিভিন্ন গ্রোসারি শপ এবং ডিপার্টমেন্টল ষ্টোরে ৬০০-৭০০ কেজি দরে পাবেন । আজকাল
অনলাইনে গ্রিন টি বিক্রয় করে সেখান থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন ।
কোন গ্রিন টি ভালো?
গ্রিনটি
এর পাতা স্বাদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ । আমরা যেভাবে গ্রিন টি পান করি তা থেকে
উপকৃত হতে পারিনা । কারন আমরা গ্রিন টি ব্যাগ ব্যাগ ব্যবহার করি । গ্রিন টি ব্যাগ
কিছুক্ষন গরম পানিতে চুবিয়ে রেখেই সাথে সাথে সেটা পান করি । এটা ঠিক নয় । তবে
গ্রিন টি ব্যাগের পরিবর্তে আসল গ্রিন টি পানিতে জাল দিয়ে যদি পান করতে পারি সেটা
সব থেকে ভালো ।
কোন কোম্পানির গ্রিন টি ভালো
বাজারে
বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন দামে দেশ-বিদেশি নানান রকম - নানান কোম্পানির গ্রিন টি
পেয়ে যাবেন । তবে ইন্টারনেটে রিসার্চ করে যতটুকু জানা গেছে দেশি কোম্পানির মধ্যে Ispahani
Premium Green Tea মুটামুটি ভালো ।
গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম
সম্প্রতি ওহায়ো ইউনিভার্সিটির এক গবেষনা থেকে জানা গেছে, বেশি বেশি গ্রিন টি পান করা ঠিক নয় । গ্রিন টি নিয়ম করে পান করা উচিত । ভালোভাবে গ্রিন টি এর উপকারিতা পেতে হলে খাবার খাওয়ার ৪৫ মিনিট আগে বা ৪৫ মিনিট পরে পান করা উচিত ।
আর রাতে ঘুমানোর দুই ঘন্টা
আগে গ্রিন টি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং ওজন কমানোর জন্যও সহায়ক ।
এক্ষেত্রে
ঠিক কতটা পরিমাণ খেতে হবে, তাও জানা জরুরি । ওহায়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, পানির মতো করে বেশি বেশি গ্রিন টি পান করা উচিত নয় ।
আরও পড়ুনঃ
- সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত হাঁটুন | হাঁটার উপকারিতা সমূহ
- সজনে পাতার গুনাগুন | সজনে পাতার উপকারিতা
- কফির উপকারিতা অপকারিতা
গ্রিন টি বেশি খেলে কি হয়?
অনেক
বেশি গ্রিন টি খেলে শরির পানি শুন্যতা অর্থাৎ ডিহাইড্রেশন হতে পারে । খুব বেশি
পরিমান গ্রিন টি খেলে শরির থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান বের করে দিতে পারে । এছাড়া
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে সকালে মানব শরিরে মেটাবলিজম বেশি থাকে আর সে কারনে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই গ্রিন টি না পান করাই উত্তম ।
সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা
সকালবেলায়
শরীরে মেটাবলিজমের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে । তাই সকালে উঠে গ্রিন টি না খাওয়ার
পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ।
বিশেষজ্ঞদের
মতে খালি পেটে গ্রিন টি পান করা শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে । কেননা,
খালি পেটে শুধুমাত্র পানি/জল ছাড়া আর অন্য কোনও কিছুই খাওয়া উচিত নয় । কারন খালি
পেটে লেবু, আদা, গোলমরিচ, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এই সমস্ত উপাদান পেটকে গরম করে
তুলতে পারে । পরবর্তিতে অম্বল বা গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে । তাই খালি পেটে গ্রিন
টি খাওয়া ঠিক নয় ।
পিরিয়ডের সময় কি গ্রিন টি খাওয়া যাবে?
পিরিয়ডের
সময় অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার গ্রহণের পাশাপাশি আমাদেরকে গ্রিন টি খেওয়া যাবে ।
কারণ গ্রিন টি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । এটির একটি ক্ষমতা আছে যা
পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে ।
গ্রিন টি কি চিনি দিয়ে খাওয়া যায়?
স্বাস্থ্যকর
পানীয় হিসাবে আমরা গ্রিন টি পান করে থাকি । চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর
বলে সবসময় এটি বর্জন করার করা উচিত । সুতরাং গ্রিন টি -এর সাথে চিনি মিশিয়ে পান
করলে এর উপকার কিছুই পাওয়া যায় না । তাই স্বাস্থের কথা মাথায় রেখে, সাধারণত গ্রিন
টি কোনো কিছুর মিশ্রন ছাড়াই পান করা উচিত । তবে যদি খুব বিস্বাদ লাগে তাহলে অল্প
মধু মিশিয়ে খেতে পারেন ।
ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম
অতিরিক্ত
চর্বি কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে । আর সে কারণে নিয়মিত গ্রিন টি
পান করলে শরীরের ওজন কমবে । ভালোভাবে গ্রিন টি এর উপকারিতা পেতে হলে খাবার খাওয়ার
৪৫ মিনিট আগে বা ৪৫ মিনিট পরে পান করা উচিত । আর রাতে ঘুমানোর দুই ঘন্টা আগে গ্রিন
টি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং ওজন কমানোর জন্যও সহায়ক ।
গ্রিন টি বানানোর নিয়ম
নিম্নে
গ্রিন টি বানানোর প্রক্রিয়া বর্ননা করা হলো । যে ভাবে বলা হলো ঠিক সেভাবে বানাবেন
কারন এভাবে বানালে গ্রিন টি এর গুনাগুন ঠিক এবং অটুট থাকবে ।
প্রথমে
পানি ফুটিয়ে নিন । এর পর প্রতিটি কাপে গরম পানি ঢেলে নিন । এর পর কাপের মধ্যে
গ্রিন টি এর টি ব্যাগ ছেড়ে দিন । টি ব্যাগটি ২-৩ মিনিট গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখুন ।
তবে খেয়াল রাখবেন বেশিক্ষন রাখলে চা তিতা লাগতে পারে । এরপর টি ব্যাগ তুলে মধু
মিশিয়ে পরিবেশন করুন ।
গ্রিন টি এর উপকারিতা
"গ্রিন
টি" এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি স্বাস্থ্যের নানা রকম উপকার সাধন
করে থাকে । নিয়মিত গ্রিন টি পান, শরীরের বার্ধক্য আগমনকে দীর্ঘায়িত করে । জাপানের
নাগরিকরা প্রচুর পরিমানে গ্রিন টি পান করে থাকে । এজন্য জাপানে এটিকে
"Anti-aging drinks" বলে বিবেচনা করা হয় । নিম্নে এর কিছু উকারিতা দেওয়া
হলো ।
👉 গ্রিন
টি এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হওয়ার কারনে নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে ক্যান্সারের ঝুকি
থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
👉 গ্রিন
টি নিয়মিত পান করলে দেহের অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি কমিয়ে দেয়, এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রনে
থাকে ।
👉 এটি
নিয়মিত পান করলে দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে দেয় । এর ফলে হার্টের
রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায় ।
👉 এটি
নিয়মিত পান করার ফলে অনিন্ত্রিত রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে ।
👉 এটি
পান করার ফলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । তাই অযাচিত ব্যাকটেরিয়া,
ভাইরাস আক্রমন করতে পারে না । শরির থাকে রোগ মুক্ত ।
👉 এছাড়াও
গ্রিন টি পান করার ফলে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
গ্রিন টি এর অপকারিতা
অনেকেই
আজকাল নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন । পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার দৃষ্টান্ত থাকলেও তা
সংখ্যায় অতি নগণ্য । পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, গ্রিন টি তে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে
পরিপূর্ণ হওয়া সত্বেও দিনে তা তিন কাপের বেশি পান করা ঠিক নয় । এর থেকে বেশি গ্রিন
টি খেলে শরির ডিহাইড্রেটেড হওয়ার আশংকা থাকে ।
ত্বকের যত্নতে গ্রিন টি
👉 দুইটি
গ্রিন টি ব্যাগ থেকে চা নিয়ে তাতে দু চামচ মধু এবং সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মুখে
লাগিয়ে রাখুন । ২০ মিনিট পার হলে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন । সপ্তাহে দুবার
ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হবে । দুটো গ্রিন টি ব্যাগ যদি আধা ঘন্টা ফ্রিজে রেখে
তারপর চোখের ওপর ১৫ মিনিট রেখে দিন । এভাবে দিনে দুবার ব্যবহার করুন । এতে চোখের
তলায় কালির সমস্যা কমবে ।
👉 বলিরেখা
দূর করতে গ্রিন টি খুব কার্যকর । এক টেবিল চামচ এর সঙ্গে তিন টেবিল চামচ টক দই ও
এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে
ফেলুন । সপ্তাহে দুবার এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন ।
👉 ত্বকের
আর্দ্রতা ধরে রাখতে টোনিংয়ের জন্য গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারেন । দুই কাপ গ্রিন টি
ফুঁটিয়ে ঠান্ডা করে এতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে বোতলে ভরে রাখুন ।
মুখ পরিষ্কার করতে এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন দিনে দুইবার । এক টেবিল চামচ শুকনো
গ্রিন টি, এক কাপ চিনি, আধা কাপ অলিভ অয়েল আর দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে
স্ক্রাবার বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন ।
চুলের যত্নে গ্রিন টি
👉 চার
কাপ গরম পানিতে দুই থেকে তিনটা গ্রিন টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন এক ঘন্টা । মিশ্রণটি
ঠান্ডা হলে চুল ভিজিয়ে এই মিশ্রণ দিয়ে ধুয়ে নিন । এর ১০ মিনিট পরে শ্যাম্পু
করুন । সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার করলে চুল শক্ত ও মজবুত হবে ।
👉 গ্রিন টি পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে মাথার চুল ধুয়ে নিতে পারেন । এতে চুল পড়া কমায়, চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ।
এই রকম আরো পোস্ট পেতে চাইলে “জিনিয়াস বাংলা ব্লগ” এর কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিন । আমরা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা পোস্ট করার চেষ্টা করবো ।